চুয়াডাঙ্গা জেলার  উথলী স্টেশনের আপ ৭১ নং লেভেলক্রসিং যেন এক মরণ ফাঁদ, ডাম্পার থাকলেও নাই কোন গেটম্যান। আর এই কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এই রেলগেটের উপর দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে যেকানে কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি, স্থানীয়রা গেটম্যান না থাকার বিষয়ে জানলেও সড়কে বাইরে মানুষ চলাচল করার সময় মনে করে ডাম্পার যেহেতু আছে তা হলে ট্রেন আসলে গেটম্যান হয়তো জাম্পার নামাবে বা সতর্ক করবে। কিন্তু কেউ নাই আর এজন্য প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলস্টেশন অত্র এলাকার একটি পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী রেলস্টেশন। দিন ও রাতে আপ-ডাউনে বেশ কয়েকটি দ্রুতগতির আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি এই স্টেশনের উপর দিয়ে চলাচল করে ৩টি মেইল ট্রেন এবং একাধিক মালবাহী ট্রেন। রেলস্টেশনের অদূরেই অবস্থিত ৭১নং সেনেরহুদা রেলগেট। যেখানে গেটম্যানের জন্য ঘর, ব্যারিকেড দেওয়ার জন্য ডাম্পার থাকলেও নাই কোন গেটম্যান। একাধিক বার দুর্ঘটনা ঘটার পর উথলী গ্রামের মধ্যে ২টি এবং উথলী বাজার টু সেনেরহুদা গ্রামে প্রবেশের রেলগেটটিতে ডাম্পার এবং গেটম্যানের জন্য ঘর নির্মাণ করে রেল কর্তৃপক্ষ।

বাকি দুটি রেলগেটে গেটম্যান নিয়োগ প্রদান করা হলেও সেনেরহুদা রেলগেটটিতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি কোন গেটম্যান। গেটম্যান না থাকায় এক প্রকার ঝুঁকি নিয়েই গেটটি পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন যানবাহনের চালক। গেটম্যান না থাকায় আশঙ্কা রয়েছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। গেটম্যান নিয়োগ না দেওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার মিন্টু রায়, বলেন আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিকভাবে জানিয়েছি এবং লিখিতভাবে এই সপ্তাহের ভিতরে মেসেজ পাঠাবো। জনসাধারণের দাবি যত দ্রুত সম্ভব সেনেরহুদা রেলগেটটিতে গেটম্যান নিয়োগ দিতে হবে। যাতে আর কোন বড় দূর্ঘটনা না ঘটে এই গেটে।