বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আজ যথাযােগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৯তম জন্মদিন শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করেদিবসটি উপলক্ষে শিশু কিশােরদের মাঝে চিত্রাঙ্কন প্রতিযােগিতার আয়ােজন করা হয়অনুষ্ঠানে শিশু-কিশাের, বীর মুক্তিযােদ্ধাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। 

কনসাল জেনারেল . মােহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত সকল কে নিয়ে শহিদ শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেনদিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শােনানাে হয়অনুষ্ঠানে শহিদ শেখ রাসেল এর উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন থিম সং পরিবেশন করা হয়শিশু-কিশােরদের অংশগ্রহনে শেখ রাসেলের উপর রচিত গানসহ দেশাত্মবােধক গান, কবিতা আবৃত্তি ও উপস্থিত বক্তব্যসহ নানামূখী পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়শহিদ শেখ রাসেল, জাতির পিতা তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যসহ সকল শহিদ বীর মুক্তিযােদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া মােনাজাত করা হয়। 

কনসাল জেনারেল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেনশহিদ শেখ রাসেল এর জীবন সম্বন্ধে আলােচনাকালে কনসাল জেনারেল উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী থাকায় শিশু রাসেল পিতার আদর যত্ন সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেনশিশু বয়সে তার মধ্যে বিভিন্ন মানবিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটে১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালােরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিবারের অনেক সদস্যসহ শহিদ হনছােট্ট শিশু শেখ রাসেল সেদিন রেহাই পায়নিশিশু-কিশােরদেরকে পৃথিবীর আশা ভবিষ্যৎ হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস সংস্কৃতিকে আরাে গভীরভাবে জানতে উৎসাহিত করেনএছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযােদ্ধাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। 

পরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযােগিতায় বিজয়ী শিশু কিশােরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়উপস্থিত সকলে কনস্যুলেটের উদ্যোগ আয়ােজনকে সাধুবাদ জানান।