মাদারীপুর-৩ (কালকিনি, ডাসার ও সদরের একাংশ) সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান ওরফে গোলাপের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শতাধিক গাড়ির বহর ও কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাসের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।    এ সময় দলীয় সমর্থকেরা তার পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি নেতা-কর্মীর না যাওয়ার নির্দেশনা সত্ত্বেও মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় উপজেলার প্রধান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের দাবী এটা দৃশ্যত বড় ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন।  নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচণ আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না। সেখানে নেতা-কর্মীরা ঢাক-ঢোল বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে হাজার হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশ করেন।

এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।   স্থানীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে তিনি কয়েক হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যেখানে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে পাঁচজনের বেশি লোক প্রবেশ করা যায় না সেখানে তিনি অনেক লোক নিয়ে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কাছে প্রবেশ করেছে এবং নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা তার জন্য স্লোগান দিয়েছেন। এ সময় উপজেলা সদরের প্রধান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতস্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত।  সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, আচারণবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছি। আমি ৫ জন ব্যতীত অন্যদের বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলাম।  আচারণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়া ছাড়াও আরও ৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী নিতাই চক্রবর্তী, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী প্রবীন হালদার, এবং জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন এমএ খালেক খোকন।