আমাদের জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শঙ্কা, গুজব, গুঞ্জন আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে আমরা সতর্ক আছি। আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না। বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের সফল করতে হবে, শান্তিপূর্ণ করতে হবে, ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি করতে হবে। দেশের মানুষকে ভয় ভীতির মধ্যে রাখতে বিএনপি ও তার দোসররা চক্রান্ত করছে। তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক, মানুষ নির্বাচনমুখী। গ্রামগঞ্জে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সফল, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারো নির্বাচিত হবার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি বলেছে নির্বাচন করতে চায়, জোটে থাকতে চায়। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথা তারা বলেনি। আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে আমরা নিশ্চিত হতে চাই। এ নিয়ে অস্থিরতার কারণ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আ.লীগ উঠাবে না। স্বতন্ত্র ইস্যুতে শরীকদের সাথে আপস করার সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, গাজীপুরে ট্রেনে নাশকতা, এটা নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র। রেলের নাশকতা ও আগুন সন্ত্রাস করে তারা দেশে কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়? এটাই প্রশ্ন। বিএনপি ও তার দোসররা নাশকতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আমরা সতর্ক পাহারা জোরদার করছি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সফল, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। ব্যাপক ভোটার উপস্থিত নিশ্চিত করতে হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার। সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গুপ্ত হামলা ও গুপ্তহত্যা করছে। বিএনপি ও তাদের দোসররা বাসে-ট্রেনে আগুন দেয়। তারা ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিএনপির গুপ্ত মিছিলের কোনো মূল্য নাই। এগুলো আমরা দেখেও না দেখার ভান করছি। রাজনীতির মাঠে ফখরুল থাকলে ভালো লাগতো। রাজনীতির মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফখরুলের জবাব-পাল্টা জবাব দিতে ভালো লাগে। এখন সেটা অনুপস্থিত। থাকলে ভালো লাগতো। মিস করছি এটা বলতে চাই না। এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।