আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক দলগুলোর জন্য আওয়ামী লীগের সাতটি আসন ছাড়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন ১৪ দলের শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। রাতে গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমু ভাই প্রাথমিকভাবে সাতটি আসনের নাম প্রস্তাব করেছেন। আমরা ওনাকে বিনয়ের সঙ্গে আসন আরও বৃদ্ধির জন্য বলেছি এবং এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে আমরা বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছি। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, প্রথমত. আসন সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। দ্বিতীয়ত. জোটের সব শরিকদের নিয়ে চাহিদা অনুযায়ী আসন বণ্টন করার জন্য বলেছি, তৃতীয়ত. আমাদেরকে যেসব আসনে ছাড় দেওয়া হবে সে আসন গুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উঠিয়ে নিতে হবে। চতুর্থত. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য বৈঠক করতে হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে চৌদ্দ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সেখানে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। জাসদকে ৩টি, ওয়ার্কার্স পার্টিকে ৩ টি এবং জাতীয় পার্টি (জেপি)কে একটি আসন ছেড়েছি আমরা। তবে কোন কোন আসন কাকে দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি আওয়ামী লীগ নেতা। পরে ইনু জানান, তাকে কুষ্টিয়া-২, রেজাউল করিম তানসেনকে বগুড়া-৪ এবং মোশাররফ হোসেনকে লক্ষ্মীপুর-৪ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।  বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে বরিশাল-৩, বর্তমান সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে রাজশাহী-২ এবং মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে এবারও সাতক্ষীরা-১ আসন দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে দেওয়া হচ্ছে তার পিরোজপুর-২ আসন।  ওদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আমাদের শরিকদের কারো কোনো আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছি, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকবে। উল্লেখ্য, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদেরকে ১৬টি আসনে ছাড় দেওয়া হলেও এবার তা কমিয়ে ৭ করেছে আওয়ামী লীগ।