কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সিরাকিউস সিটির মেয়র বেন ওয়ালস এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে আজ (জুলাই ২০২৩ ) বৈঠক করেনসময় তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন, বিশেষ করে উভয়ই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো গভীর সম্প্রসারিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেন। 

অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম নিয়ামক হিসাবে অভিহিত করে কনসাল জেনারেল . ইসলাম মেয়রকে দু'দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা অগ্রগতি অবহিত করেনযুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোষাকের রপ্তানী বাড়ানোর পাশাপাশি তিনি বাণিজ্য সহযোগিতাকে আরো সম্প্রসারিত করার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেনকনসাল জেনারেল বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিনিয়োগ বান্ধব নীতি পদক্ষেপসমূহের বর্ণনা করে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিনিয়োগ বান্ধব গন্তব্য বলে আখ্যায়িত করেনসরকার পরিকল্পিত বিকাশমান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ এর প্রাপ্ত সুবিধাসমূহের বর্ণনা দিয়ে . ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি বিনিয়োগকারীদেরকে আরও গভীরভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আমন্ত্রণ জানানএক্ষেত্রে তিনি অন্যান্যের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানী, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন, ভৌত অবকাঠামো লজিস্টিক খাত সমূহের কথা বিশেষভাবে চিহ্নিত করেন। 

প্রসঙ্গক্রমে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের মেধা, মনন, উদ্যম সৃজনশীলতা তুলে ধরে কনসাল জেনারেল বলেন যে, তারা শুধুমাত্রই দু'দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন না, দু'দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বোঝাপোড়াকে সহজ সরল সাবলীল করার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছেনবাংলাদেশের ইতিহাস, ভাষা সংস্কৃতিকে সিরাকিউসে পরিচিত প্রসারিত করতে উভয়ই সুবিধাজনক সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ফ্ল্যাগ রেইজিং অনুষ্ঠান করতে সম্মত হনমেয়র ওয়ালস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতা অর্জনের প্রশংসা করেনদু'দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য বিনিয়োগ সহযোগিতা আরো বিস্তৃত করার অপার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করে বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করবেন মর্মে কনসাল জেনারেলকে আশ্বস্ত করেন। 

আগামী দিনগুলিতে মেয়র অফিস বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মধ্যেকার চলমান সহযোগিতা আরো কার্যকরী শক্তিশালী হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি ঘটে।