সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে অন্য দেশের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস এরইমধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রচার শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি। আজ এক ফেসবুক পোস্টে সরকারের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী লিখেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করবে, কীভাবে কোন পদ্ধতিতে তারা যাত্রা করবেন। সবাইকে দূতাবাসের নির্দেশনা মেনে রেজিষ্ট্রেশন এবং প্রয়োজনীয় কাজ করার অনুরোধ করছি।’ সুদানে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ না করার অনুরোধ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী লিখেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি দূতাবাসে যোগাযোগ না করার জন্য। কারণ সকলেই ব্যস্ত এবং রুটগুলো নিরাপত্তার খাতিরে না জানানোই ভালো। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
প্রতিমন্ত্রী খোলাসা না করলেও এরইমধ্যে নয়াদিল্লির বরাতে খবর বেরিয়েছে সুদানে আটকেপড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে দিল্লি ‘অপারেশন কাবেরী’ নামে যে বিশেষ ইভ্যাকুয়েশন অভিযান শুরু করেছে, তার আওতায় বাংলাদেশ, নেপাল বা শ্রীলঙ্কার নাগরিকরাও ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন। ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস সুমেধা খুব শিগগিরই পোর্ট সুদানে ভিড়তে চলেছে। এই জাহাজে করে অন্তত কয়েক হাজার ব্যক্তিকে সুদান থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এছাড়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানও সুদানের উদ্দেশে রওনা হয়েছে, সেগুলোও একই কাজে ব্যবহার করা হবে। সংবাদ মাধ্যমের খবর ভারতের নাগরিকই নন, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা নেপালের মতো বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশগুলোর নাগরিকদেরও এই অভিযানের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।