কয়েকদিন ধরেই ছোট ছেলে আয়ান বায়না ধরছিল জুরাসিক ও স্পাইডার পার্কে যাবে বলে। আজ অফিস না থাকায় অবশেষে যাওয়ার সুযোগ হলো। পার্ক দুটিতে এর আগে ২০১৯ সালের ১ মে গিয়েছিলাম আমরা। তখন আয়ান ছোট ছিল। তাই তার ইচ্ছাতেই আবার যেতে হলো।প্রাগৈতিহাসিক যুগের ডাইনোসররা কেমন ছিল তার অভিজ্ঞতা দিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তেহরানে উদ্বোধন করা হয় প্রথম ডাইনোসর থিম পার্কটির। ‘তেহরান এনিম্যালস এন্ড জুরাসিক পার্ক’ নামের এই থিম পার্কে রয়েছে ৩২টি ভিন্ন প্রজাতির বিশালাকার ডাইনোসরের রোবটিক মডেল।তেহরানের সা’দাত আবাদ এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে প্রায় ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে রয়েছে মাংসাশী, তৃণভোজী ও সর্বভুক মিলিয়ে ৩২ ধরণের ডাইনোসরের রোবটিক মডেল। এছাড়া রয়েছে হাতি, বাঘ, সিংহ, ভালুক, জেব্রা, জিরাফসহ ৩৫টি সাধারণ প্রাণী। সবগুলো প্রাণীই নড়াচড়া করে এবং শব্দ করে।
জুরাসিক পার্কের পাশেই রয়েছে স্পাইডার পার্ক। সেখানে অন্তত ২০টি ভিন্ন পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গের মডেল রয়েছে যা চলন্ত ভাস্কর্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। পোকামাড়কগুলো নড়াচড়ার পাশাপাশি নিজের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্যও তুলে ধরে রেকর্ডকৃত কণ্ঠের মাধ্যমে। এতে বাচ্চারা বেশ মজা পায়।
পাহাড়ের কাছাকাছি নির্মিত পার্ক দুটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শুধুমাত্র সরকারি ছুটির দিনে বন্ধ থাকে। সাড়ে সাত লাখ ইরানি রিয়াল দিয়ে টিকিট করে দুটি পার্কে যতক্ষণ ইচ্ছা ঘোরাঘুরি করা যায়।