কবিতার কারিগর
- ফারুক সরকার


মাথাভরা শব্দগুলো
করে হৈ চৈ।
আশ্লেষ আলিঙ্গন
নাকি কোলাহল?
ঈদের নামাজের পর
সেটা নয়।
যেন গরুর বাজারের
কেনাকাটা দামদর।

ভীষন ঝড়োয়া ঝগড়া চলছে ওদের,
ব্যাতাবিক্ষুদ্ধ বিতর্ক আর মারধর।
- ‘কথাকারিগর’!
- ‘সেটা আবার কেমন?’
- ‘যেমনটি হয় কথাশিল্পী’ তাঁর উত্তর।
- ‘তাহলে বল কবিতার কারিগর,
    কাব্যের মিস্ত্রি, বড় জোর!
    না কি গবিতার সূত্রধর?’

অভিনব আমর্শ – উপদেশ, চিত্তবিনোদন।
- ‘নূতন শরাব দিলি
    পূরোনো বোতলে?’ জিজ্ঞাসিনু এবার।
- ‘কারিগর জানে ব্যাকরণ, শব্দের বানান, আর
    তুই তো জানিস ঘোড়ার ডিম।’
    তোতলানো উত্তর তাঁর।
- ‘কে বললো সে কথা?’ প্রশ্ন আবার।
- ‘চ্যাংগারীর চাগাড়’
- ‘ভাবে তো মনে হয় তুই এক কিম্ভুত
    চতুর চশমাপরা চামচা চমৎকার’।

অকারণেই অমার্জিত চিৎকার,
হিমসিম খাওয়া চাঁচল্য উদ্বেগ।
অবাস্তিক হাতাহাতি, কানে টান,
গালে চাপড়ের দাগ ।
অসামাজিক অদ্ভূত
আচরণ, অপমান।

- ‘তারপর?’
- ‘তারও পর অভিমান, মান।
    এলো অথান্তর, মর্মপীড়া,
    উতকন্ঠা – উত্তেজনা।
    ক্ষোভ, বিক্ষেপ ছেড়ে তাপ, বিষাদ।
    রণাবসানে ফিরে এসে বেদনার শান্তি  -
    শব্দগুলো ফিরে গেলো
    আবার মাথার ভিতর’।

এখন কাঁদে শুধু কবিতার কারিগর।



৫ই অগাষ্ট, ২০২২
সিল্কেবোর্গ, ডেনমার্ক