নজরুল একাডেমির আয়োজনে নজরুল জন্ম-জয়ন্তী
নিউ ইয়র্ক-এর নজরুল একাডেমি প্রতি বছর এমন একটি ভাল অনুষ্ঠান করে। অতিমারীর কারণে দুবছরের বিরতির পর আবার করলো। এবারের অনুষ্ঠান লাগুয়ার্ডিয়া ম্যারিয়টের সুন্দর হল-এ হয়েছিল। ব্যয়বহুল অডিটরিয়ামে করে লাভের লাভ হলো- দর্শক সংখ্যা তুলনামূলক কম হলো, খরচও বেশি হলো! তবে আমাদের, অর্থাৎ উপস্থিত দর্শকদের ক্ষতি হয়নি কিছুই, কারণ টাকাতো আমরা দেইনি, দিয়েছেন স্পন্সররা!
এবারকার অনুষ্ঠানে নজরুলের গান নিয়ে খ্যাতি ও পরিচিতি পাওয়া দুজন বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পী ছিলেন। এদের একজন সালাউদ্দীন আহমদ, অন্যজন সুজিত মোস্তফা। দুজনই আমার প্রিয় শিল্পী এবং তাদের আকর্ষণেই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত ছিলাম।
অনেকদিন পর সুজিত মোস্তফার গান সামনাসামনি শুনলাম। মনে পড়লো টিএসসি অডিটরিয়ামে তার কণ্ঠে প্রথম গান শোনার স্মৃতি। সেবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নজরুলসঙ্গীতসহ সঙ্গীতে একাধিক পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
সুজিত মোস্তফার গানের রেশ নিয়ে যখন ফিরছিলাম, তখন মঞ্চে সহশিল্পী সালাউদ্দীন আহমদের প্রতি ছুঁড়ে দেওয়া সুজিত মোস্তফার দুটি অবাঞ্ছিত কথার খোঁচা নিয়ে কথা উঠেছিল। 'সালাউদ্দীন আহমদ তার (সুজিত মোস্তফার) গান গেয়ে দিয়েছেন' এবং 'সালাউদ্দীন নজরুলের গানের প্রকরণ সংখ্যা ভুল বলেছেন'- এমন কথা মঞ্চে বলা শোভন হয়নি। যারাই শুনেছেন, সবাই এ কথাই বলেছেন।
নজরুল জয়ন্তী ও বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষপুর্তিতে নজরুল একাডেমি একজনকে নজরুল গবেষণার জন্য, এবং তিনজনকে স্পন্সর করার জন্য পদক দিয়ে সম্মানীত করেছে। তাছাড়া একটি স্মরণিকাও প্রকাশ হয়েছে এ উপলক্ষ্যে যার সম্পাদক রাজিয়া নাজমি আমাকে একটি কপিও দিয়েছিলেন। তাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ নজরুল একাডেমি, আপনাদের আগামী বছরের নজরুল জয়ন্তীর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।