গুচ্ছ কবিতা
মাহবুবা ফারুক
১
আমার হিসেবের ঘরে জমেনি
একটা অক্ষর
একটুও কণ্ঠস্বর।
আমি চাতকের মত চেয়ে থাকি।
২
নিজের দুঃখ বয়ে যায় সয়ে যায় পাহাড়ের ঢল,
বেদনা ধুয়ে নিতে জলেরও প্রয়োজন কিছু ছল।
ছলটুকু জলের হয়ে থাক একটু সান্ত্বনা
কার কত ব্যথা পাহাড় ও জল তা জানতোনা।
৩
বরফ নেমে যাবে বাতাসে হিম ঢেলে
সাবধানী পায়ে এগিয়ে যাবে গন্তব্যে
আজ বাঁধা নেই সময় নিয়মের সুতোয়।
৪
একটা দূরের ভোরের অপেক্ষা করি
যখন জাগবে বনভূমি ডাকবে পাখি
৫
তৃষ্ণায় জন্ম
স্পর্শে পূর্ণতা
অমর ভালোবাসা।
৬
এভাবেই অবহেলা এসে বসে থাকে
আমাদের মাঝখানে
আমরা হয়ে উঠি অবহেলার কেউ
ভুলে যাই নিজেদের দেয়া কথাগুলো
নিজেকে শুদ্ধ ভেবে জমাই মিথ্যে অভিমান।
৭
ভয় পেওনা দোহাই
সাতপাকে বাঁধবোনা তোমাকে কখনো
শরীরের বারকোশ থেকে
একটু আগুন নেবো ওম নেবো
শীতের সন্ধিক্ষণে সরে যেওনা
দেহ ধোয়া বাতাস নেবো সূর্যের ছোঁয়া
নেবো অমনোযোগী রোদ
মরা গাছের ডালপালায়
শুকনো কাঠের টুকরো আর শীতের
হাড়গোড়ে যৌবন পোহাবো
জানতে চেয়োনা করতলের লিখন
ওসব তোমার না জানলেও চলবে
যে গ্রহেই পেতেছ শয্যা – ফিরে যেও
জ্বেলে দিয়ে আবেগের দেশলাই
শৈত্যদাহে মরবো একাই
নৈঃশব্দে পুড়বো একা ।
শীত পাথরের কোন সঙ্গী থাকে না ।
৮
মনের সুতোয় গাঁথি সম্পর্কের মালা
অনেক নাম অনেক মন রেখেছি গেঁথে।
৯
অপমান করো যাকে
একদিন তার দরজায়
তুমি হাত পাতবে সাহায্য কামনায়।