৪ ঠা নভেম্বর সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ের গণ-মহাভবনে জার্মানির সফররত চ্যান্সেলর ওলাফ শোল্জের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে সি চিন পিং বলেন,চ্যান্সেলর শোল্জের সফর দু’দেশের পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থা বৃদ্ধিকরবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় বাস্তব সহযোগিতা গভীরতর করবে, এবং পরবর্তী পর্যায়ে চীন-জার্মানি সম্পর্কের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
সি চিন পিংবলেন, চীন জার্মানির সাথে একটি ভবিষ্যৎমুখী সর্বাত্মক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং চীন-জার্মানি ও চীন-ইইউ সম্পর্কের নতুন বিকাশের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীনের উন্নয়ন ও বিশ্বের উন্নয়ন একে অপরের সাথে জড়িত। চীন অটলভাবে উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণ নিশ্চিত করবে, অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের সঠিক দিক নির্দেশনা মেনে চলবে, একটি উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে, এবং অন্যান্য দেশের সাথে অভিন্ন স্বার্থের জন্য কাজ করে যাবে।
তিনি বলেন, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা ধ্বংস করা সহজ, কিন্তু পুনর্গঠন করা কঠিন। তাই, এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি জরুরি। জার্মানিরপ্রতিচীনের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক, চীনের প্রতিও জার্মানির দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচকই থাকবে— এমনটা আশা করা অন্যায় নয়।
সি চিন পিং আরও বলেন, চীন-ইইউ সুসম্পর্ক বৈশ্বিক কাঠামোর স্থিতিশীলতা ও ইউরেশীয় মহাদেশের সমৃদ্ধির জন্য জরুরি। উভয় পক্ষের উচিত এ সম্পর্ক লালন করা। চীন আন্তর্জাতিক বিষয়ে জার্মানিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করতে চায় এবং যৌথভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীব বৈচিত্র্য রক্ষা,ও খাদ্য-নিরাপত্তা উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যেতে আগ্রহী।
বৈঠকের সময় জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, বিশ্বের একটি বহু-মেরু প্যাটার্ন প্রয়োজন। উদীয়মান দেশগুলোর ভূমিকাও প্রভাবও মনোযোগের দাবি রাখে। জার্মানি সংঘাতের বিরোধিতা করে। যে-কোনো সংঘাতের দায় অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদদের নিতে হবে। জার্মানি ইইউ-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে তার যথাযথ ভূমিকা পালন করে যেতে ইচ্ছুক।সূত্র: সিএমজি।