এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :
বিয়ের সাজে ওচমান গণি ও থাই তরুণী। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকায়
বিয়ের সাজে ওচমান গণি ও থাই তরুণী। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকার ছবি।
পাঁচ বছর আগে থাইল্যান্ডের তরুণী তানিদার সঙ্গে পরিচয় হয় কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর তরুণ ওচমান গণির (২২)। মেসেঞ্জারে কথা হতে হতে বছরখানেকের মাথায় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অবশেষে প্রেমের টানে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসে ওচমান গণিকে বিয়ে করলেন তানিদা।
ওচমান গণি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জাবের আহমদের ছেলে। ১২ ডিসেম্বর ওই বাড়িতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর ওচমান গণির বাড়িতেই আছেন তানিদা। প্রতিদিনই তাঁকে দেখতে গ্রামের নারীরা ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।
ওচমানের বাবা জাবের আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে ওচমান গণি চতুর্থ। সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার পর অভাবের কারণে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম শহরে একটি মুরগির ফার্মে চাকরি নেন ওচমান। পরে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ গ্রামে চলে আসেন। চাকরি নেন মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে। ওই চাকরি চলে গেলে ৯ মাস ধরে বেকার এই তরুণ।
থাই তরুণীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওচমান গণি বলেন, গত বছরের জানুয়ারিতে মহেশখালীতে তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তানিদা। ১৪ দিন থাকার পর আবার নিজ দেশে ফিরে যান। পরে তাঁর বাবার অসুস্থতার খবর শুনে গত বছরের এপ্রিলে আবারও বাংলাদেশে আসেন থাই তরুণী। সে যাত্রায় সাত দিন থাকেন। সর্বশেষ ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন তানিদা। এরপর ১২ ডিসেম্বর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তানিদা। তাঁর নাম রাখা হয় খতিজাতুল কোবরা। ওই দিনই বিয়ে হয় তাঁদের।
তানিদা থাইল্যান্ডে একটি চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন ওচমান গণি। তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রী এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এক মাস পর আবার থাইল্যান্ডে চলে যাবেন। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।
এই থাই তরুণী দেশে ফিরে গিয়ে স্বামীর জন্য ভিসার আবেদন করবেন জানিয়ে ওচমান গণি বলেন, ভিসা পেলে তিনিও থাইল্যান্ডে যাবেন। সেখানে চাকরি পেলে থেকে যাবেন ওচমান। ১০ বছর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসবেন।
জানতে চাইলে ওচমানের বাবা জাবের আহমদ বলেন, ‘বউমা আমাদের ভাষা বোঝেন না। ইশারা–ইঙ্গিতে যোগাযোগ চালিয়ে নিচ্ছি। এখন প্রতিনিয়ত সে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা করছে।’
প্রেমের টানে মহেশখালীতে এসে বিয়ের পিঁড়িতে থাই তরুণী
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৫৯ এএম

সারাবাংলা রিলেটেড নিউজ

পরানে আগ্রাবাদ মিলন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আদমদীঘিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অর্থ সহায়তা প্রদান

ইউনাইটেড কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের রজত জয়ন্তী উদযাপন

‘গাছ দাদু’ সত্যিকারের বৃক্ষপ্রেমী

প্রয়াত দীপ মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে শোকসভা

আসাদ চৌধুরী ভাইকে ঘিরে দিন যায় রাত যায় আবার দিন আসে--- আকবর হায়দার কিরন

কী দেখতে এসেছিলেনএই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ, আর কী দেখলেন?

তোমার কাছে আমার একটি চাওয়া ---আবিদ রহমান