এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :


  শীতের আগমন এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেপ-তোষক কারিগররা। বছরের অন্যান্য সময় তারা অলস সময় কাটালেও বাংলা আশ্বিন মাস থেকে দোকানের তালা খুলে বসেন মহাজনরা। লেপ-তোষকের কাপড়, তুলা ও সেলাই মেশিনসহ সরঞ্জামাদী সাজিয়ে বসেন লেপ-তোষক তৈরি করতে। এবার আদমদীঘি উপজেলার কার্তিক মাস থেকে পুরোদমে বিভিন্ন লেপ-তোষকের দোকানে ধুম পড়েছে লেপ-তোষক তৈরিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানায় যায়, আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, নসরতপুর, মুরইল, কুন্দগ্রাম, কড়ইসহ বিভিন্ন এলাকায় তিন শতাধিক লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে মহাজন, কারিগরসহ সহস্রাধিক শ্রমিক এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।

আদমদীঘি সদরের মহাজন রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ১০ বছর যাবত রেপ-তোষক তৈরির কাজ করেন। আগে এনালক পদ্ধতিতে লেপ-তোষক তৈরি করা হতো। এখন উন্নতমানের জুকি মেশিনে কাজ করা হয়। এতে সময় কম লাগে বড় মাপের লেপ কাপড় তুলা সুতাসহ তৈরি খরচ বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে ৩ হাজার ২শ’ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। গদির দাম নেয়া হয় ৩ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে ৪ হাজার ২শ’ টাকা। শ্রমিক মজুরি লেপ- ৫৫০ টাকা ও তোষক বা গদি ৬৫০ টাকা দিতে হয়। বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলার তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানে কারিগরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এবারও ধুম পড়েছে লেপ-তোষক তৈরিতে। আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এ পেশার কারিগররা ব্যস্ত থাকলেও অবশিষ্ট মাসে কারিগররা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন। বর্তমানে খদ্দেরের সংখ্যাও কম নেই দোকানগুলোতে।

খদ্দের সানোয়ার হোসেন জানান, তিনি এক হাজার ২শ’ টাকায় বড় মাপের একটি লেপ তৈরি করে নিয়েছেন।