জনাব কাজী আবদুল মতিন (মতিন স্যার) শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর।সেটার বাস্তবরূপ আমাদের সকলের প্রিয় মতিন স্যার কাছে দেখেছি। স্যারের কাজকর্ম, কথাবার্তা, মন মানসিকতা, চিন্তা ভাবনা, আদর সোহাগ সবই আমাকে দারুণভাবে আনন্দিত করত। আমি ছাত্র হিসেবে মোটেই ভালো ছিলাম না তবুও আমার মাধ্যমিকে যে ফলাফল হয়েছিল তার পেছনে স্যারের অবদান অনস্বীকার্য। স্যারের শিক্ষা কেবল পাঠ্য বইয়ে সীমাবদ্ধ ছিল না। স্যার কখনো আমাদের কে শিক্ষিত হতে বলতেন না! তিনি আমাদের কে সুশিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানাতেন। একজন ছাত্র কীভাবে পরিপূর্ণ মানুষ হতে পারেন সেটার শিক্ষা আমি/আমরা স্যারের কাছে পেয়েছি। এটাই আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ পাওয়া। একটা সময়ে তিনি সরকরি চাকুরি শুরু করেন উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তার কার্য্যালয় চৌদ্দগ্রাম। অফিস থেকে এসে অবসর সময়টুকু তিনি আমদের যে কোন সমস্যা নিয়ে স্যারের বাড়ীতে উপস্থিত হলে স্যার একটা হাসি দিয়ে আমাদের বরন করে নিতেন এবং শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে বসে যেতেন।প্রিয় মতিম স্যার নির্দিষ্ট কোন বিষয় পড়াতেন না তিনি ছিলেন সকল বিষেয় পারদর্শী।পড়ালিখার পাশাপাশি তিনি খেলাধুলায় ছিলেন অসাধারণ।স্যার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন মসজিদে এবং বিশেষ করে বিজয়করা শাহজাহান মার্কেট জামে মসজিদ ও মক্তব উন্নয়নে ওনার ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য একটা সময় বিদেশি অনুধানে মসজিদ টি নির্মান কাজ শেষ হলে তিনি দায়িত্ব নেন রতন পুর জামে মসজিদের কি ভাবে উন্নয়ন করা যায়। আমার ধনানা তিনি ঐ মসজিদ টিও উন্নয়ন করতে পেরে ছিলেন।স্যারের সাথে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রেখা আপার জন্য ভোট চাইতে গেলে স্যারের নতুন প্রজেক্ট দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই। ওনাদের নিজেদের জায়গা মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দিয়ে আধুনিক মসজিদ কমপ্লেক্স এতিমখানা এবং ছাত্র হোস্টেল নির্মাণকাজের প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ করেছেন। আমি জান্তে চাইলাম স্যার এখানে তো অনেক টাকার ব্যাপার তখন তিনি অনেকর নাম আমাকে বলেছেন মাপ করবেন কিছু নাম আমার মনে থাকলেও কে কি মনে করেন তাই নাম গুলো লিখি নাই। তিনি বলেন দেশর এবং বিদেশে আছেন সবই দুই হতে দিচ্ছে। আমারা পারিবারিক ভাবেও সবাই মিলে টাকার যোগান দিচ্ছি। আমি বল্লাম স্যার আমি আপনার মহত কাজে শরীক হলাম বলে কিছু নগদ অর্থ স্যারের হাতে দিলম এবং বল্লাম স্যার আমি যখন যা পরি আপনার কাজের সাথে শরীর হবো। নির্বাচনের পরে স্যারের সাথে আমার আবারো দেখা হয় আমাদের সাদু কাকার ছেলের বিয়েতে স্যারের যুবরাজ ডাকটা এখনো কানে বাজে সকলের অগোচরে স্যারের হাতে আরো কিছু টাকা দেই। স্যার তখন বলে ছিল যুবরাজ প্রচুর টাকার দরকার দেখনা তোমার তো পরিচিত অনেকেই আছে যদি কিছু টাকা সংগ্রহ করতে পার তখন আমি স্যারকে বলে ছিলাম স্যার এটা মনেহয় আমাকে দিয়ে হবে না। আজ আমাদের প্রিয় স্যার মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় এ্যাপোলো হসপিটালের আইসিইউতে জিবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।আপনারা সবাই স্যারের জন্য দোয়া করবেন এবং ওনার শেষ ইচ্ছে বাস্তবায়ন করতে যার যা সমর্থ আছে তা দিয়ে মসজিদ কমপ্লেক্স টি নির্মান কাজে সহযোগিতা করবেন। কাজী আবদুল মতিন স্যার সব সময় গরিব দুঃখী মেহনতী মানুষের পাশে ছিলেন সব সময় সাহায্য ও সহযোগী করেছেন তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখেনা। তিনি জিবনে যা আয় করেছেন সব টাকাই সমাজিক কর্মকান্ডে ব্যায় করেছেন। পারিবারিক জিবনে তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। আমার সাথে স্যারের সম্পর্ক টা ঘুব ভালো ছিলো তিনি আমাকে আদর করতেন বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করতেন।কথা প্রসঙ্গে তিনি একদিন বল্লেন যুবরাজ আমি আর তোমার ভাবী দুই জন মানুষ আমাদের জন্য কি লাগে বল পুকুরের তাজা মাছ,তাজা সবজি,গাছের ফল কিছুইতো ক্রয় করা লাগেনা সত্যি ওনাদের বাড়িতে সব ধরনের ফলগাছ আছে। স্যারের সবজী বাগান সত্যি দেখার মত ছিলো। মহান আল্লাহ নিকট দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের সকলের প্রিয় স্যারকে মহান আল্লাহ নেক হায়াত দান করুন। এবং ওনাকে অতিদ্রুত সুস্থ করে দিন। স্যার আপনিও আপনার হতে গড়া কারিগর গুলোর জন্য দোয়া রাখবেন যেন আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে আমরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারি।