প্রথমেই তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা , সংগঠক , কন্ঠশিল্পী , বাম সংগঠনকারী মেহনতী মানুষের নেতা এবং পেশায় ব্যাংকার । তিনি অনেক সামাজিক এবং সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন ।  আমার সাথে মোহন এর পরিচয় ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ বেতার শাহবাগে গানের রিহার্সালে । তখন আমরা দুজনেই রেডিওতে  " অন্বেষা " নামক একটি অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতাম । অন্বেষা অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করতেন জাকিয়া সুলতানা আপা । শাহবাগ রেডিওতে গেলেই আড্ডা হতো ডি আর ডি শামসুল ইসলাম ( ভাইছা ) ভাইয়ের রুমে । বাইরে শাহবাগ কোহিনূর স্ন্যাকসের ভিতর ।   ১৯৮১ সালের কথা , মোহন একদিন আমাকে বললো মাহবুব তুমি তো অভিনয় এবং গান দুটির সাথেই জড়িত চল আমরা একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন করি !  তারপর থেকে আমরা প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় বসতাম এবং সংগঠন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতাম । কিভাবে শুরু করবে, কে কে থাকবে , সংগঠনের অফিস কোথায় হবে ইত্যাদি ইত্যাদি । রেডিও থেকে বেড়িয়ে কোহিনূর স্ন্যাকসে চা, সিংগারা খেয়ে যাদুঘর এর মাঠে গিয়ে বসতাম । তখন যাদুঘরের দেয়াল বা কোনো বেষ্টনী ছিল না । পাবলিক লাইব্রেরীর ভিতরে , মাঝে মাঝে শাহবাগের আইল্যান্ডের মাঝের জায়গাটাতেও বসতাম । সেখানে প্রচুর ঘাস ছিল , ধুলাবালিও কম ছিল । অনেকেই এখানে বসে আড্ডা দিত । এভাবে প্রায় কিছুদিন চলে যায় ।  

এর মধ্যে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে বিএনপি সরকারকে উৎখাত করে নিজেই ক্ষমতা দখল করে । দেশে সামরিক শাসন চলছে । আপাতত সংগঠনের চিন্তা বাদ । রেডিওতে যাই ঠিকই কিন্তু আড্ডা হয় না ! কারণ সেনাবাহিনী রেডিও অফিস দখল করে নিয়েছে । সবই থমথমে অবস্থা , আড্ডা তো দূরের কথা রেডিওর কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাও অনেক সময় আইডি কার্ড সাথে না রাখার কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা গেটে দাঁড়িয়ে থাকে , ভিতরে যাবার অনুমতির জন্য ! রেডিও অফিসে মেজর ফরিদ নামের একজন ছিলেন কমান্ডিং অফিসার । সে-ই রেডিওর মা-বাপ ।  সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু কিছু আন্দোলন শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে । আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে ব্যায়াম করি , সেখানেও সেনাবাহিনীর ক্যাম্প করে আমাদের শরীরচর্চা বন্ধ করে দিয়েছে । তখন ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক ছিল পিন্টু । সেও আমাদের ব্যায়ামের করার ব্যাপারে কিছুই করতে পারলোনা । তখন আমাদের অনেকেই যারা ইউনিভার্সিটির জিমনেসিয়ামে ব্যায়াম করতাম তাদের মধ্যে খায়রুল কবির খোকন , ফুটবলার কানন ,ফুটবলার  টিপু , ফুটবলার গাফফার , সান্টু ,মানিক, মহসিন আরো অনেক খেলোয়াড় ,  ছাত্র দলের সভাপতি জালাল আহমেদ , ছাত্র দলের ফেরদৌস খোকন , ছাত্রলীগের সূর্যসেনের সভাপতি গোলাপ , পরে সিনেমার নায়ক শাহীন আলম সহ আমার অনেক বন্ধুরা সকালে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বসে থাকতে হয় !  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দৌড়াদৌড়ি কিছু হালকা ব্যায়াম করে বাসায় ফিরতে হয় ।  যাক্ সে কথা  ----- তখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাস , শাহবাগে সন্ধ্যার পর আড্ডা টা হয় না । সন্ধ্যার পর পরই কারফিউ শুরু হয়ে যায় । রেডিওতে প্রোগ্রাম থাকলে  কারফিউ পাস সাথে রাখতে হয় । এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের জন্য আমাদের সংগঠনের কাজ বন্ধ । এর মধ্যে বন্ধু মাহবুবুল হায়দার মোহন এর মতিঝিল সোনালী ব্যাংক থেকে পোস্টিং হয়ে চট্টগ্রাম চলে যায় ।  মাঝে মাঝে চট্টগ্রাম থেকে রেডিওতে প্রোগ্রাম করতে ঢাকায় আসলে দেখা সাক্ষাৎ হতো । সংগঠন নিয়ে আলাপ আলোচনা করতাম । ৮৫ সালের কথা মোহন জানালো সে আবার মতিঝিল সোনালী ব্যাংক ট্রান্সফার হয়ে এসেছে । এখন সংগঠনের ব্যাপারে কিছু একটা করা যেতে পারে । বন্ধু মাহবুবুল হায়দার মোহন একটি বাম সংগঠন " কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দলের সাথে জড়িত ছিল । আমাকে বললো মাহবুব বিকেলে তুমি তোপখানা রোডে চলে আসো । সেখানে বসে কথা বলবো । কারণ বাইরে বসার সমস্যা আছে । সেখানে গিয়ে দেখি শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের অফিস । কিন্তু কেই নেই ! মোহন বললো এই মূহুর্তে অফিসে লোকজন কম আসে।

যাক আমরা দুজনে সংগঠনের জন্য পরিচিত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ শুরু করলাম । প্রায় প্রতিদিনই বসি ঐ ২৩/২ তোপখানা রোডের কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দলের অফিসে । হঠাৎ একদিন সেনাবাহিনীর হানা ! কোনো রকম পালিয়ে বাঁচলাম । পরে মোহন কে বললাম আমি আর ওখানে যাব না । কারণ আমি কোনো রাজনৈতিক দল করিনা । পরে এক সপ্তাহ ঐ অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দিলাম । তারপর কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দলের সিদ্দিকুর রহমান ভাইয়ের বাসা সেগুনবাগিচা বর্তমান বারডেম হাসপাতাল এর উল্টো দিকে সেখানে বসে সংগঠনের মিটিং করতে থাকি । পরে কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দলের মোখলেছুর রহমান ভাইয়ের বাসা রায়েরবাজার , সুলতান রোডের বাসায় , নির্মল সেন দাদার পল্টনের বাসায়ও মিটিং করেছি সংগঠন নিয়ে ।  আমাদের এই কাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের সংগঠনের জন্য অনেককেই পেয়ে গেলাম ।

 আমাদের সংগঠনের জন্য খুবই নামি-দামি দেশ বরেণ্য  মানুষ জন জোগাড় করে ফেললাম -------- তারা হলেন ,  হাবিবুর রহমান জালাল , নিলুফার বানু লিলি , মৌসুমি কবির , দিলরুবা খান , কিরন চন্দ্র রায়, মোহাম্মদ খসরু , পুর্না বেগম , এম এ খালেক, রিজিয়া পারভিন , হাসান চৌধুরী , জাকির হোসেন আখের , সুলতানা রহমান , নয়ন ভৌমিক , কামরুজ্জামান রোমান , সাংবাদিক কবিতা হায়দার , সাংবাদিক মাইনুল হক ভুঁইয়া , সাংবাদিক ফরিদ বাসার, সাংবাদিক সাইফুল বারী মাসুম , সাংবাদিক সিকান্দার ফয়েজ , জসিম মোহাম্মদ , রফিকুল ইসলাম মিলন ,ব্যাংকার মঞ্জুর কাদের , সাবেক রাস্ট্রদূত মাসউদ মান্নান, বজলুল হক খান মিটু  ,মাধুরি , নাহিদ , লোপা , ইসলাম উদ্দিন ঝন্টু সহ অনেকের নাম মনে করতে পারছি না । প্রায় ২০০ শতজন সদস্য জোগাড় করে ফেললাম ।  ১৯৮৬ সালের জানুয়ারীর ৭ তারিখে আমাদের সংগঠন এর মিটিং হলো সিদ্দিকুর রহমান ভাইয়ের বাসায় ।

এখন সংগঠনের নাম কি হবে তা নিয়ে কথা শুরু হলো । ৫/৬ টি নাম জমা পড়লো , এর মধ্যে " ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী নামটি সবার পছন্দ হলো । কিন্তু  ক্রান্তি নামটি নিয়ে সমস্যা দেখা  দিল । সবাই বললো ক্রান্তি নামের একটি সংগঠন আছে ।  আমাদের এক সদস্য মামুনুর রশীদ কচি বললো , কামাল লোহানী ভাইদের খুব সম্ভবত একটি সংগঠন আছে ।  আমি মাহবুবুল হায়দার মোহন এবং মামুনুর রশীদ কচি তিনজনে মিলে কামাল লোহানী ভাইয়ের অফিসে যাই , তখন তিনি প্রেস  ইনস্টিটিউটের ডিজি ( PIB) উনার সাথে দেখা করার পর তিনি জানালেন উনার কোনো আপত্তি নাই। কারণ ১৯৬৭ সালে ক্রান্তি নামের সংগঠনটি উনারা পত্রিকার মাধ্যমে ডিক্লেয়ার দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করে ছিলেন । তখন সেই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন কামাল লোহানী এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শেখ লুৎফর রহমান। শেখ লুৎফর রহমান তখন মগবাজার নজরুল ইন্সটিটিউটের পরিচালক । আমি, মোহন এবং কচি নজরুল ইন্সটিটিউটে শেখ লুৎফর রহমান ভাইয়ের সাথে দেখা করে উনাদের অনাপত্তিপত্র নিয়ে " ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী " নাম দিয়ে সংগঠন এর কাজ শুরু করি।

 সংগঠন তো হলো , এখন একটি অফিসের দরকার । তখন বন্ধু মাহবুবুল হায়দার মোহন বললো সবাই মিলে চল নির্মল সেন দাদার কাছে যাই উনি একটা ব্যাবস্থা করবেন ।  যেই বলা সেই কাজ নির্মল সেন দাদা উনাদের অফিসের পাশের একটি রুম আমাদের ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর জন্য দিয়ে দিলেন । আমরা আমাদের সংগঠনের জন্য নিজস্ব একটি অফিস পেয়ে গেলাম । তারপর পরের মিটিং এ আমাদের সংগঠন ক্রান্তির কমিটি গঠন হয় । মাহবুবুল হায়দার মোহন সভাপতি , আমি মাহবুব জামান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত এবং বিভিন্ন জনকে দায়িত্ব দিয়ে নতুন সংগঠন ক্রান্তির যাত্রা শুরু হয় ।  ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর প্রথম অনুষ্ঠান ছিল আদমজী জুট মিলের বালুর মাঠে একুশে ফেব্রুয়ারি গণসংগীত এবং নাটক। শ্রমিক নেতা সাজ্জাদ হোসেন এর লেখা একটি নাটিকা সেখানে মঞ্চায়ন করেছিলাম।  আদমজী জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের আমন্ত্রণে সেখানে অনুষ্ঠান সফলভাবে করেছিলাম ।

তখন সৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলছিল , সেই আদমজী জুট মিলের বালুর মাঠে এরশাদের সাদু বাহিনীর লোকজনও সাহস করে নাই আমাদের বাঁধা দিতে ।  আদমজী জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের ভালবাসায় ভরপুর আনন্দ দিয়ে আমরা সেদিন ফিরেছিলাম ।  এদিকে সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় আমরা বিভিন্ন স্থানে পথ নাটক এবং গণসংগীত পরিবেশন করে যাচ্ছি । আমাদের গানের রিহার্সাল হতো ফার্মগেট রাজা বাজার কৃষিবিদ জনাব জাভেদ ইকবাল ভাইয়ের বাসায় ।  আমাদেরকে নির্মল দাদা অনেক সাহায্য সহযোগিতা করতেন

। আমাকে ডেকে প্রায়ই কুশলাদী জিজ্ঞাসা করতেন । অফিসে মিটিং এবং রিহার্সালের চা নাস্তার টাকা দিতেন । রিহার্সালের সময় ক্রান্তির যারা ( মেয়ে ) শিল্পী ছিল তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতেন । এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় আমরা ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্যরা কাকরাইলের মোড়ে গণসংগীত পরিবেশন করেছি ঠিক সেই সময় এরশাদের পেটোয়া বাহিনীর লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায় , আমরা নিরাপদ স্থানে সরে গেলেও বন্ধু সংগঠনের সভাপতি মাহাবুবুল হায়দার মোহন ধরা পড়ে যায় । ঐদিন রমনা থানায় রেখে পরদিন কোর্টে পাঠিয়ে দেয় । আমি এবং সংগঠন এর কয়েকজন মিলে রাতেই নাসিরুদ্দিন বাচ্চু ভাই এবং শাহরিয়ার কবির ভাইয়ের সাথে দেখা করি , উনারা একটি চিঠি লিখে দেয় মাজিস্ট্রেট কোর্টের এক বিচারকের কাছে , চিঠি নিয়ে দিবার পর বিকেলেই মোহনের জামিন মঞ্জুর হয় ।  বন্ধু মোহন এর গ্রেফতার এর পরদিন এবং তার পরদিন ঢাকার সব দৈনিক পত্রিকায় বড় বড় হেডলাইন ছিল " সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং শিল্পীরাও সামরিক জান্তার হাত থেকে রেহাই পায় না  " ।  

এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের আমাদের হাতিয়ার ছিল গণসংগীত এবং পথনাটক , এর মাধ্যমেই আমরা ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম ।  তারপর দেশে আসলো মহা প্লাবন , ৮৮'র বন্যা , আমরা ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে রাস্তায় গান গেয়ে টাকা পয়সা তুলতে লাগলাম এই সময় মাহবুবুল হায়দার মোহন , চঞ্চল মাহমুদ এবং কবিতা হায়দার একটি টিম করে বিভিন্ন এনজিও আর ঔষধ কোম্পানি থেকে ঔষধ যোগাড় করে বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দিতাম । তখন একটু ধড়-পাকড় কম ছিল । আমার বন্ধু বজলুল হক খান মিটুর বড়ভাই তখন এরশাদ সরকারের সংকৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খান উনার কাছেও গিয়েছিলাম যেন আমাদের সংগঠন ক্রান্তির ছেলে-মেয়েদের ধড়-পাকড় থেকে রেহাই দেয় ।

 ৯০ সালে আমি বিদেশে চলে যাই। মাঝে মধ্যে দেশে আসলে বন্ধু মোহন এর  সাথে দেখা হতো । সে বলতো মাহবুব সংগঠনটা কোনোমতে ধরে রেখেছি । তুমি কিছু একটা কর । তখন ১৯৯৪ সাল ক্রান্তির কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিল একটি দুস্থঃদের সাহায্যার্থে একটি অনুষ্ঠান করবে । সবাই বললো পপ গুরু আজম খানকে নিয়ে করার জন্য । আমি আর টিএনটি কলোনির আজম খানের বাসায় গিয়ে দেখি তিনি খুবই অসুস্থ , ঠিকমত দাড়াঁবার শক্তি নাই । তারপর উনাকে কিছু সাহায্য করে আমরা চলে আসলাম । পরে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল নজরুল সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগমকে নিয়ে অনুষ্ঠান করবে । তাঁর কাছে গেলে উনি ২০ হাজার টাকা দাবি করেন । উনাকে সবাই বললাম এটি একটি জনকল্যান মূলক অনুষ্ঠান , তিনি বললেন তোমরা টাকা কামাবা তাহলে আমাকে দিতে অসুবিধা কোথায় ! তিনি আবার বললেন শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম ছাড়া তিনি গাইবেন না ! সবাই শিল্পকলা একাডেমিতে গেলে জানা গেল ভাড়া ৩০ হাজার টাকা । সব মিলিয়ে অনুষ্ঠান করতে গেলে খরচ হবে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ।

 তখন শিল্পকলা একাডেমিতে অনেকেই পরিচিত ছিল শেষে গেলাম শফি কামাল ভাইয়ের কাছে তিনি শিল্পকলায় চাকরি করতেন । শফি কামাল ভাই অডিটোরিয়াম, সাউন্ড, লাইট সব ফ্রী করে দিলেন।  টিকিট পুশিংসেল করে সব খরচ বাদ দিয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার সংগঠন এর ফান্ডে জমা হয়েছিল ।  আজ বন্ধু মাহাবুবুল হায়দার মোহন নেই , হাবিবুর রহমান জালাল ভাই নেই, নিলুফার বানু লিলি আপা নেই , স্বর্নকন্ঠ শফি কামাল ভাই নেই । আরও অনেকেই আজ বেঁচে নেই । মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে ফরিয়াদ তিনি যেন তাঁর প্রিয় বান্দাদের বেহেস্ত নসীব করেন । মাঝে মধ্যে মোহন ভাবির সাথে কথা হয় , তিনি আছেন মোটামুটি , অবসর নিয়েছেন, গ্রীন সুপার মার্কেটের পিছনে রাজা বাজারের নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন । ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী এখনো আছে কিনা জানিনা । যদি থেকে থাকে তাহলে ক্রান্তির সবার জন্য শুভকামনা রইল