নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় ও লস এঞ্জেলেসে
পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। জানা
গেছে, পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের ডেলোয়ারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক
বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ফিরোজ আলম জাহাঙ্গীর (৫৫)।
দেশের বাড়ী নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সালামত উল্লাহ
মেম্বার বাডী, ওর্য়াড নং ১, চর পার্বতী। গত ১২ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল
১০টার দিকে পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের ডেলাওয়ার কাউন্টির ক্রাম লিনে ও-
৪৭৬ সাউথ থেকে ইন্টারস্টেট ও-৯৫ নর্থেও র‌্যাম্প এর মুখে এক সড়ক
দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী মোটরসাইকেল চালক ফিরোজ আলম জাহাঙ্গীর
নিহত হন। রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনারদিন সকাল ১০টার দিকে
একটি টয়োটা ক্যামরির চালক বাংলাদেশীর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা
মারে। ফিরোজ আলম জাহাঙ্গীর মাত্র বছর দেড়েক পূর্বে আমেরিকায়
এসে আস্যালাইম কেসের মাধ্যমে ওর্য়াক পারমিট পাওয়ার পর উবার
ইটসে কাজ করছিলেন।
ফিরোজ আলম জাহাঙ্গীর বর্তমানে তিনি আপারডাবীতে বসবাস
করতেন। দেশে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে রয়েছেন। এই রিপোর্ট লেখ
পর্যন্ত তার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে মর্গে রয়েছে। দেশে তার পরিবারের
সাথে কথা বলে তাদের ইচ্ছে মোতাবেক মরহুমের লাশ দেশে পাঠানো হবে
নাকি এখানেই দফন করা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
লস এঞ্জেলেসে বাংলাদেশী ছাত্রের ইন্তেকাল

এদিকে ক্যালফোর্নিয়া রাজ্যের লস এঞ্জেলেসে মহারাজ কৌশিক (২০)
নামের এক বাংলাদেশী ছাত্র সড়ক দূর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না
লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার দেশের বাড়ী কুমিল্লার বড়–রা
উপজেলা। সে ইন্টারন্যাশনাল আমেরিকান ইনিভার্সিটি,
ক্যালিফোনির্য়ার শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা গেছে, মহারাজ কৌশিক স্টুডেন্ট ভিসায় ২০২৩ সালের
ফেব্রæয়ারী মাসে যুক্তরাষ্ট্র আসেন এবং ইন্টারন্যাশনাল আমেরিকান
ইনিভার্সিটি, ক্যালিফোনির্য়ায় ভর্তি হন। লেখাপড়ার পাশাপাশি
তিনি একটি সিকিউরিটি কোম্পানীতে কাজ করতেন। গত ১০

জানুয়ারী বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি স্থানীয় মেডিসন
এভিনিউ ও ভেভালি বুলেভার্ট ক্রস স্ট্রীটে দূর্ঘনার শিকার হন। এতে তার
মাথায় মারাত্বক আঘাত লাগে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে লস
এঞ্জেলেসের ল্যাক ইউএসসি কাউন্টি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই
হাসপাতালেই চিসিাধীন অবস্থায় গত ১১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ভোর
রাত ৩টার দিকে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে বুধবার রাতে মহারাজ কৌশিক কাজ থেকে বাসায় না ফেরায়
তার রুমমেট খোঁজখবর করে তার কোন সন্ধান না পেয়ে পুলিশের
স্মরণাপন্ন হন এবং পুলিশ ষ্টেশনে রিপোর্ট করলে তার সন্ধান পান।
হলিউড মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আব্দুল
মান্নান জানান, কাজ থেকে স্কুটার চালিয়ে বাসায় ফোরার পথে সে
দূঘটনার শিকার হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে মহারাজ
কৌশিকের মা-বাবা ও এক বোন রয়েছে। তারা ঢাকায় বসবাস করেন।
ঢাকায় পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয়েছে এবং তারা কৌশিকের
মরদেহ ঢাকায় পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। এজন্য কমিউনিটির
পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।