এম আব্দুর রাজ্জাক, বগুড়া থেকে : আল্লাহর দরবারে গুনাহ মাফ, আত্মশুদ্ধি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বগুড়া শহরতলীর ঝোপগাড়ি মারকাজ মসজিদে আয়োজিত তিন দিনের আঞ্চলিক ইজতেমা। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের শুরা মাওলানা মোশাররফ হোসেন। প্রায় ২০ মিনিটের মোনাজাতে লাখো মুসল্লির কান্না ও আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা প্রাঙ্গণ। 

মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করে। ইজতেমা মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মহাসড়ক ও আশপাশের বিভিন্ন রাস্তা, মাঠ, বাসাবাড়ি এবং খোলা স্থানে, বাস-ট্রাকে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা। 

গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে বগুড়া শহরতলির ঝোপগাড়িতে মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা শুরু হয়।এর আগে লাখো মুসল্লি শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন। দশ একর আয়তনের মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মহাসড়ক ও আশপাশের বিভিন্ন রাস্তা, মাঠ, বাসাবাড়ি এবং খোলা স্থানে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। 

ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বলেন, বিশ্ব ইজতেমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন দিনব্যাপী এই আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করা হয়। আজ আখেরি মোনাজাতে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে গুনাহ মাফ, আত্মশুদ্ধি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। 

বগুড়া সদর থানার (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ইজতেমা ময়দানের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। রাত-দিন ভাগ করে পালাক্রমে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। লাখো মানুষের সমাগম হলেও কোন বিশৃঙ্খলা ছিলনা। ধর্মপ্রাণ মানুষেরা মোনাজাতে অংশ নিয়ে ফিরে যান নিজ নিজ কর্মে।