নরসিংদী-সহ সারা বাংলাদেশে একের পর এক বাউলদের উপর সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীদের হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। লালন পরিষদ ইউএসএ আয়োজিত এই সমাবেশে নিউইয়র্কের শিল্পী-সাহিত্যি-সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 
 


১২ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জ্যাকসন হাইটস ডাইভারসিটি প্লাজায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ ও সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান,লেখক সুব্রত বিশ্বাস ও শিতাংসু গুহ,ভাষা গবেষক ওবায়দুল্লাহ মামুন ও সংগীত শিল্পী শাহ্ মাহবুব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক কর্মী মিনহাজ আহমেদ শাম্মু। সমাপনী বক্তব্য রাখেন লালন পরিষদ ইউএসএ‘র আহবায়ক আব্দুল হামিদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে শত শত বছর ধরে যে বাউল শিল্পীরা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ করে আসছেন। কিন্ত বাংলাদেশের মৌলবাদ গোষ্ঠী তাদের উপর লাগাতার আক্রমণ করে আসছে। তাদের আখড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে,তাদের হত্যা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত করা চেষ্টা করা হচ্ছে।

 


  বক্তারা আরও বলেন, বাউলদের উপর আক্রমণ শুধুমাত্র তাদের কন্ঠরোধ করা না, বাংলাদেশের সংবিধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপরও আক্রমণ করা হচ্ছে।
বক্তরা সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীদের হামলা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,এমন অসভ্য ও বর্বর কাজের বিরুদ্ধে দেশের মানুষসহ বিশ্বের সকল প্রগতীশীল মানুষদের রুখে দাড়াতে হবে। সেই সাথে বাংলাদেশের সরকারকে কঠোর অবস্থানে থেকে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশের শেষে বাউল শিল্পী কালা মিয়ার নেতৃত্বে লালন শাহের বিখ্যাত ‘জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা। সত্য কাজে কেউ নয় রাজি,সবই দেখি তা না না না’ গানটি সমবেত ভাবে গাওয়া হয়।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন হুসনে আরা বেগম, আকবর হায়দার কিরন, শিল্পী জাহেদ শরীফ,স্বীকৃতি বড়ুয়া, শিল্পী কালা মিয়া,ডোলবাদক শফিক মিয়া,  সুলেখা পাল,ওবায়দুল্লাহ মামুন,ডা. প্রতাপ দাশ,গোপাল স্যানাল,দীলিপ মোদক, শহীদ উদ্দিন,হিরো চৌধুরী,পিনাকী তালুকদার,হাসানুুজ্জামান সাকী প্রমূখ।