জোহোরা জাবিন কারিম -স্বপ্নে দেখা আমার মা
মনে পড়ে কোন এক
নিস্তব্ধ নিবীড় রাতের কথা।
তিমির নিঝুম রাত
গভীর নিদ্রায় আমি।
তখন তুমি হঠাৎ এলে
দুরে বহু দুরে কোন এক
পাহাড়ের চুড়ায় দাঁড়িয়ে।
মলিন অসহায়,
উদ্বিগ্ন মুখের নিহারন।
প্রত্যয়াতীত ক্ষনিকের দৃষ্টি,
অসহায় শিশুর মত
যেন কাকে খুঁজছো।
এই তো, এযে আমারই মা।
আমি ছুটে যাই মূহুর্তে
পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে
বন্ধুর পথ পেরিয়ে
এগোই রূদ্ধ স্বাসে।
পড়ে যাই, আবার উঠে দাঁড়াই।
প্রলম্বিত পথ পেরিয়ে
এক সময় চলে আসি
পাহাড়ের চুড়ায়।
শুনতে পাই নাড়ির স্পন্দন,
গভীর বেদনার মূর্ছনা
জাগে হৃদয়ে।
আমার মায়ের মুখটি দেখে
চেয়ে রই নির্নিমেষে
ক্ষনিকের শব্দহীন নিস্তদ্ধতা
মা-মা- আমার মা।
হঠাৎ পাওয়া আনন্দোচ্ছাস
স্তব্ধ হয়ে গেল ক্ষনিকের তরে।
ভেঙে পরি কান্নায়
ডুকরে ডুকরে কেঁদে
ভাসিয়ে দেই বুক।
শুভ্র শাড়ীতে এলো চুলে দাঁড়িয়ে
ঠিক যেন দুঃখিনী মা আমার
দুটি হাত বারিয়ে আছে
আমারই দিকে যেন,
সমুদ্রের খড়কুটোর অপেক্ষায়।
অসহায় গভীর বেদনার
সুর সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে
আমি পরম পাওয়ার ছোঁয়ায়
অনাবিল হলাম।
ছুটে যাই সেই প্রসারিত
হাত দুটির মাঝে
গভীর বেদনায় সত্বার মাঝে
ধারন করি আমার মাকে।
দু হাতে জাপটে ধরে বলি
এই তো, আমি এসেছি
তোমার কাছে
বহু দিন পর তোমার ছোঁয়া
তোমার শরীরের ঘ্রাণে
হলাম নিষিক্ত
মা আমায় আঁকড়ে ধরে
বললেন, এতদিন কোথায় ছিলি ?
যেন বহু কষ্টে
আছেন, আমায় ছেড়ে ।
আকাশের তলে, নক্ষত্রের দেশ
ছেড়ে আমার কাছে
ছুটে এলেন, এক
দীপান্বিতা তারার মত।
হঠাৎ ঘুমের ঘোরে
যেন বজ্রপাতের আঘাত
আমার আনন্দ উচ্ছাসে
তীব্র নীলের ছিটে,
ধরপর করে উঠে বসি
একাকি সয্যায় বসে
চারিদিকে সন্দিগ্ধ দৃষ্টি
কোথায় আমার মা ?
নিজের শরীরে চিমটি কাটি
একি সত্যি ! না স্বপ্ন ।