মনিজা রহমান
বহু আগে হুমায়ুন আহমেদের এক নাটকে অভিনয় করেছিলেন হানিফ সংকেত। নাটকটার কথা এখনো মনে আছে। নাটকে তিনি মামার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বহু বছর পরে ভাগ্নী এসেছে বলে স্নেহশীল মামার আবেগ হৃদয় ভিজিয়ে দিয়েছিল ওই নাটকে। আমি নিজেও জন্মের পর থেকে মামাদের স্নেহে বড় হয়েছি। যে কারণে প্রিয়ভাজন সাংবাদিক ও লেখক আকবর হায়দার কিরন ভাই যখন ভাগ্নের বইটি আমাকে দিলেন, অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করছিল।
মামা কিরন ভাইয়ের চোখমুখ জ্বলজ্বল করছিল গর্বে। বইটি যে আর কেউ নয় ওনার বড় বোনের ছেলে আফলাতুন হায়দার চৌধুরীর লেখা। বইয়ের নাম- সাগরের গল্প। মজার ব্যাপার হল লেখকের ডাক নামও সাগর। ভ্রমন কাহিনী নির্ভর উপন্যাস বলা যায় বইটিকে। যার শুরু হয়েছে লেখককে ডিপোর্টেশনের নাটকীয়তা দিয়ে। তারপর একের পর এক ঘটনার ঘনঘটা। কোন ঘটনা মজার, কোনটা ভীতিকর কিংবা রোমাঞ্চকর। ঘরে বসে বিশ্বভ্রমনের অভিজ্ঞতা হবে বইটি পড়লে।
বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন, আর কেউ নন মামা আকবর হায়দার কিরন। অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই বইটি ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে নিয়ে এসেছেন আরেক সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী আবিদ রহমান। প্রিয় ছোট বোন আইরিন রহমানের বাসায় ছবিটি তুলে দিয়েছেন তুষার ভাই।
প্রায় তিনশ পৃষ্ঠার এই বইটি পড়া শুরু করেছি। তবে কিরন ভাইয়ের কাছ থেকে জেনেছি ওনার বড় বোন অর্থাৎ সাগরের মা হুসনা হায়দার চৌধুরী ইতিমধ্যে বইটি দুই বার আগাগোড়া পড়ে ফেলেছেন। এজন্য সবাই মজা করে বলছিল, মা ছেলের বই দুইবার খতম করে ফেলেছেন।
লেখক আফলাতুন হায়দার চৌধুরী তাঁর মেরিন জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বইটি লিখেছেন। বর্তমানে তিনি লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশ সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। ওনার স্ত্রী নিয়াজ তামান্না কান্তাও লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত।