NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, মে ১৭, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস টেইলর, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, ক্যাপ্টেন (অব.) সিতারা বেগম, বীর প্রতীক  এবং সাদাত হোসাইন ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে: মির্জা আব্বাস Bangladesh pledges specialized units, new partnerships, and several pilot  projects at the 2025 Berlin UN Peacekeeping Ministerial আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনবে সৌদি যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান বৈশাখী আবাহনে মানবের জয়গান নারীর ক্ষমতায়নে রবীন্দ্রনাথ: আধুনিকতার অগ্রদূত নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা ভারত পাকিস্তান উত্তেজনায় কী বলছেন বিশ্বনেতারা
Logo
logo

গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিনামূল্যে রোগীদের সেবা দেন ডাক্তার ইয়াকুব আলী


খবর   প্রকাশিত:  ১৭ মে, ২০২৫, ০১:৩১ এএম

গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিনামূল্যে রোগীদের সেবা দেন ডাক্তার ইয়াকুব আলী

এম আব্দুর রাজ্জাক,বগুড়া থেকে : জয়পুরহাট সদর উপজেলার সিট হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী। বয়স ৭৩ বছর। তবে ১৮ বছর ধরেই বিনামূল্যে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কখনো রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আবার কখনো হাসপাতাল থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেন। এভাবে মানবসেবার কারণে গ্রামে পরিচিতি পেয়েছেন ‘ইয়াকুব ডাক্তার’ হিসেবে।

সকাল হলেই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন ইয়াকুব আলী। বিভিন্ন মাধমে সংগ্রহ করেন ওষুধ। পরেরদিন একজন পল্লিচিকিৎসক সঙ্গে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে রোগীদের খোঁজ নেন। বিতরণ করেন ওষুধ। জরুরি হলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ১৮ বছর ধরে এভাবেই মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন ইয়াকুব আলী।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিট হরিপুর গ্রামের মৃত শুকুর আলী মণ্ডল ও মৃত বুদিমন বেওয়ার মেজো ছেলে ইয়াকুব আলী। বাবা কৃষিকাজ করতেন। মা ছিলেন গৃহিণী। বাবার রেখে যাওয়া অল্প কিছু জমিতে কৃষিকাজ করা ছাড়া আর্টিস্টের কাজ করেন। ছয় বছর আগে তার স্ত্রী মারা গেছেন।

ইয়াকুব আলীর তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে দোকানে কাজ করেন। ছোট ছেলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।গ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেছেন ইয়াকুব আলী। তবে পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল না থাকায় লেখাপড়া বেশিদূর এগোয়নি। পরে নিজেকে মানবসেবায় নিয়োগ করেন। ১৮ বছর ধরে ২৫-৩০টি গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসুস্থ মানুষের খোঁজ নেন তিনি।সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের নাসিমা খাতুন, আলেয়া বেগম ও আনোয়ার হোসেন, মাঝিপাড়া গ্রামের রোকসানা বেগম ও নসিমন বেগম, ভাদসা গ্রামের আলেক মিয়া, খঞ্জনপুর এলাকার আতোয়ার রহমান বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে দেখে আসছি ইয়াকুব আলী সকাল হলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সারাদিন মানুষের সেবা করে সন্ধ্যায় বাসায় আসেন। ইয়াকুব ভাইয়ের কাছ থেকে আমরাও ওষুধ নিয়েছি। আমরা সবসময় ভাইকে কাছে পাই।’

এ বিষয়ে ইয়াকুব আলী বলেন, ‘যতদিন বেঁচে থাকবো এই কাজ করে যাবো। মানবসেবা করে আনন্দ পাই। দরিদ্ররা দোয়া করে এটাই আমার তৃপ্তি।’স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন বলেন, ‘ইয়াকুব ভাই অর্থনৈতিকভাবে তেমন সচ্ছল না হলেও সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ওষুধ কেনেন। পরে সেগুলো মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। নিঃসন্দেহে তার এ কাজ প্রশংসার দাবি রাখে।’জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, ইয়াকুব ভাই মাঝে মধ্যে আমাদের হাসপাতালেও এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ওষুধ নিয়ে যান। আবার সেই ওষুধ গ্রামের দরিদ্র মানুষের মাঝে পৌঁছে দেন।তিনি বলেন, আমি ইয়াকুব ভাইকে অনেক আগে থেকেই চিনি। তিনি হাসপাতালের ওষুধের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন। পরে সেই টাকায় ওষুধ কিনে গরিব-অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেন।