সম্প্রতি বেশ কিছু দেশ চীনা পর্যটকদের স্বাগত জানাতে নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন ১১ জানুয়ারি বেইজিংয়ে নিয়মিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, চীন নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণকে বি-শ্রেণীতে অবদমন করেছেন এবং দেশি-বিদেশিদের যাতায়াত সহজ করেছে।
এরপর অনেক দেশ চীনা পর্যটকদের স্বাগত জানিয়েছে এবং চীনা যাত্রীদের ওপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ না-করার কথা জানিয়েছে। থাই উপ-প্রধানমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিমানবন্দরে চীনা যাত্রীদের সংবর্ধনা জানিয়েছেন এবং প্রকোপ প্রতিরোধের প্যাকেজ ও পুষ্পমাল্য দিয়েছে।
মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও টুইটারে এক বিবৃতিতে চীনা পর্যটকদের আশা করেছে। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরে ২০ লাখ চীনা পর্যটককে আপ্যায়নের আশা জানিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ চীনা ভাষা জানা মানুষদের চীনা পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানানোর দায়িত্ব দিয়েছেন।
ওয়াং ওয়েন বিন বলেন, যেখানে চীনা পর্যটকরা উষ্ণতা ও আনন্দ পেয়েছেন সেখানে তারা ভ্রমণ করছেন। চীন সেসব দেশে ভ্রমণে যাওয়া চীনাদের সুবিধা দেবে এবং তাদেরকে নিজেদের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধানে নির্দেশনা দেবে।
চীন করোনা প্রকোপের পরিস্থিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত করবে। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে দেশি-বিদেশিদের যাতায়াত সুনিশ্চিত করবে; যাতে করোনা প্রতিরোধ করে আন্তর্জাতিক সংহতি ও বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অবদান রাখা যায়। সূত্র: রুবি,সিএমজি।