গর্জে ঢেউ ভীষণ সে নদীর বুকে- 

বাঁকে বাঁকে স্রোত ছিটকে পড়ে যেন ক্ষুব্ধ  

মনে তার ধরে না যা, তা যেন আবর্জনা   

ছুড়ে ফেলতে চায় নিজেকে করতে শুদ্ধ- 

যা তার পিঙ্গল জলের রঙ্গে মেশে না  

 

মনের মত ওরা দুজনা-

সেই নদীর পারে অভিসারে এসেছিল,    

এক সাগর হৃদয়ের আবেগ নিয়ে   

যদিও দুজন দুপারে দেখতো দূর থেকে,  

মন যেন চায় তারে কাছে পেতে- 

তাই ভেবে দুজনেই একদিন, গড়তে চেয়েছিল  

এক সাঁকো সে নদীর বুকের ‘পরে  

 

ঝড় উঠল সেদিন সে নদীর বক্ষে!

উথাল পাথাল যেন  বৈশাখীর ঘূর্ণি ক্ষোভে!

সে সাঁকোর ভিত্তি উঠল কেঁপে!

বুঝি উদ্যম রোষে সব কিছু ছিন্ন ভিন্ন করে, 

সে দুরন্ত ঘূর্ণি ছুঁড়ে দেবে ফেলে   

উপড়ে ফেলবে, দুজনার মনের উদভিন্ন আবেগ 

 

সে নদীর তরঙ্গ আছড়ে পরে- 

মনে জমে উঠা সব কিছু করবে যেন উৎপাটন 

এক তিতিক্ষার অভিবাসন,  

ভুলে যেতে হবে চিরতরে-  

দুজনার আবেগ সম্ভাষণ 

মনে হয়েছিল দুজনের তখন

যেন তারা, কোন এক নিষিদ্ধ সীমানায়   

সমাজের বাঁধা নিষেধে কলুষিত- 

সে ক্ষুব্ধ এক সমাজ! 

যেখানে ওদের দুজনার সাঁকো হবেনা নির্মিত! 

কোনদিন হবেনা সুরক্ষিত! 

সে গর্জান ভীষণ স্ফীত তরঙ্গে উদ্দেলিত,  

সে নদীর বুকের ‘পরে