২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ চলমান মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও সুবিন্যাস্ত করেছে। দেশের যৌথ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নভেল করোনা ভাইরাসকে বি-ক্যাটাগরির সংক্রামক হিসেবে গণ্য করার কথা বলেছে।
ফলে বাইরে থেকে আগত যাত্রীদের চীনে প্রবেশের সময় কেবল ৪৮ ঘণ্টা মেয়াদের নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার নেতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করতে হবে। বিদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে স্বাস্থ্য কোড নিতে হবে না। কাস্টমসের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য ঘোষণা কার্ড পূরণকালে ফলাফল উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া, প্রবেশের পরে নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষা ও কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টিনও বাতিল করা হবে।
যাদের স্বাস্থ্য ঘোষণা স্বাভাবিক এবং কাস্টমস বন্দরে রুটিন পরীক্ষায় কোনো অস্বাভাবিকতা নেই তাদের সমাজে প্রবেশের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং যাত্রী লোড ফ্যাক্টর সীমাবদ্ধতা বাতিল করা হবে।
তবে, এয়ারলাইন্সগুলোকে অব্যাহতভাবে অন-বোর্ড মহামারী প্রতিরোধ করতে এবং যাত্রীদের বোর্ডিংয়ের পুরোটা সময় ধরে মাস্ক পরে থাকতে হবে। কাজ ও উৎপাদন পুনরুদ্ধার, ব্যবসা, অধ্যয়ন, পারিবারিক পরিদর্শন ও পুনর্মিলনসহ বিদেশীদের চীনে আসার ব্যবস্থার সুবিন্যাস করে সংশ্লিষ্ট ভিসা সুবিধা প্রদান করা হবে।
পর্যায়ক্রমে নৌ ও স্থলবন্দরে যাত্রীদের প্রবেশ ও প্রস্থান পুনরুদ্ধার করা হবে। আন্তর্জাতিক মহামারী পরিস্থিতি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিষেবা নিশ্চয়তা ক্ষমতা অনুসারে, চীনা নাগরিকদের বাইরে ভ্রমণ পুনরুদ্ধার করা হবে। আগামি ৮ জানুয়ারি থেকে এসব নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। সূত্র: প্রেমা,সিএমজি।