যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম কন্টেইনার বন্দর, লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরের নির্বাহী পরিচালক জিন সেরোকা গত ২৯ এপ্রিল বলেছেন, মার্কিন শুল্ক নীতির কারণে কোম্পানিগুলো আমদানি অর্ডার কমানোর সাথে সাথে লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরে আগামী সপ্তাহে সীমান্তে প্রবেশকারী মালামালের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


কনজিউমার নিউজ অ্যান্ড বিজনেস চ্যানেলের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেরোকা বলেন যে, চীন থেকে আসা পণ্য লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরের মোট ব্যবসায় প্রায় ৪৫ শতাংশ অংশ দখল করে রয়েছে। শুল্ক নীতির প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু প্রধান খুচরা বিক্রেতা এখন চীনা পণ্যের সমস্ত সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।

সেরোকা ধারনা করছেন যে, পণ্য পরিবহনের সংখ্যা কমে যাওয়ার সাথে সাথে মে মাসে লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরে আসা জাহাজের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় এক-চতুর্থাংশ কম হবে। তার মতে যেহেতু মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা শুল্ক নীতি চালু হওয়ার আগেই পণ্য মজুদ করে রেখেছিলেন, তাই পণ্য সরবরাহ কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব ৫ থেকে ৭ সপ্তাহের পর দেখা দিতে শুরু করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।


মার্কিন অ্যাক্সিওস নিউজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি বৃহত্তম মার্কিন খুচরা বিক্রেতা, ওয়ালমার্ট, টার্গেট এবং হোম ডিপোর প্রধানরা সম্প্রতি মার্কিন সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন যে, চীনা পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের ফলে শিগগিরই মার্কিন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং ‘ফাঁকা তাক’ তৈরি হবে। 

সূত্র:লিলি-হাশিম-তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।