ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন প্রশাসনের প্রথম ১০০ দিন শেষে বৈশ্বিক জরিপে চাঞ্চল্যকর ফলাফল এসেছে। সিজিটিএন ও রেনমিন ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে দেশটির ঐতিহ্যবাহী মিত্ররা যেমন হতাশ, তেমনি ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোর মধ্যেও আস্থা কমেছে ব্যাপক হারে।

মার্কিনীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি: ৪৮.৯% আমেরিকান ট্রাম্প প্রশাসনের কাজে অসন্তুষ্ট; ৫৩.১% শুল্ক নীতিকে শেয়ার বাজারের পতনের কারণ বলে মনে করেন; ৬০.৪% বলেছেন, অর্থনৈতিক নীতি মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে; ৬২.৩% ডেমোক্র্যাট ভোটার দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।
‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে দেশটির ঐতিহ্যবাহী মিত্ররা হতাশ: অস্ট্রেলিয়ায় ৬৫.৫% (ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২৪.৫% বৃদ্ধি); ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সে ৭০% এর বেশি মানুষ সম্পর্কের অবনতি আশঙ্কা করছেন; দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮৭% মনে করে, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি মিত্রদের প্রতি অবহেলা বাড়াবে।

‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোর মধ্যেও আস্থা কমেছে ব্যাপক হারে: গবেষণায় অংশ নেওয়া ২৩টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ১৯টিতেই (৮২.৬%) মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচক ধারণা বৃদ্ধি পেয়েছে; দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ইন্দোনেশিয়ায় আশঙ্কা ২০% পয়েন্ট বেড়েছে; সৌদি আরব, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনায় ১০%  বৃদ্ধি। সিজিটিএনের এই জরিপ ৩৮টি দেশের ১৫ হাজার ৯৪৭ জনের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের একতরফা নীতির কারণে কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতিও অনিশ্চয়তার মুখে।

সূত্র : স্বর্ণা-হাশিম-লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।