১৬ অক্টোবর বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান ঢাকায় এক বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তাঁরা চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার হল যুদ্ধবিরতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা, পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়ানো। এর সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের উচিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা, নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানবিক ত্রাণব্যবস্থা চালু করা, এবং গুরুতর মানবিক দুর্যোগ এড়ানো। 

তিনি বলেন, চীন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশকে সংযম বজায় রাখতে ও ন্যায়সংগত মনোভাব নিয়ে সংঘাত বন্ধে সচেষ্ট হতে আহ্বান জানায়। জাতিসংঘের উচিত ফিলিস্তিনি সমস্যার সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা। নিরাপত্তা পরিষদের এই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে। 

ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন নিরিহ মানুষের বিরুদ্ধে যে-কোনো ধরনের সহিংসতা এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের যে কোনো আচরণের নিন্দা জানায়। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি জনগণের কোনো ধরনের হামলার শিকার হওয়া উচিত নয়। 
তিনি জানান, চীন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। চীন সরকারের মধ্যপ্রাচ্য সমস্যাবিশেষ দূত সংশ্লিষ্ট এলাকা সফর করবেন, সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করবেন। 

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ফিলিস্তিন সমস্যা সবসময় মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার কেন্দ্রীয় বিষয়। এ সমস্যা এখনও রয়ে গেছে কারণ ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। ইসরায়েলিদের যেমন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার আছে, তেমনি ফিলিস্তিনিদেরও আছে। ইসরায়েলি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের অধিকার কে রক্ষা করবে? চীন মনে করে, সমস্যা সমাধানের উপায় হল ‘দুই রাষ্ট্র প্রস্তাব’ বাস্তবায়ন। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে শান্তি ও সহাবস্থান সম্ভব। তখন আরব ও ইহুদি - এই দুই জাতির মানুষ এতদাঞ্চলে শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ পাবে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন সমস্যায় চীন ন্যায়ের পক্ষে আছে, আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে আছে, এবং  অধিকাংশ দেশের অভিন্ন আকাঙ্খার পক্ষে আছে। 
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।