জাতিসংঘে বাংলাদেশ রাস্ট্রদুত মুহিতকে নিউ ইয়র্কে আন্তরিক স্বাগতম

আকবর হায়দার কিরন

বেটার দ্যান নেভার- অগাস্ট মাসে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাস্ট্রদুত জনাব মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত এলেও অবশেষে সুযোগ হলো তাঁর সাথে আমাদের মুখোমুখি সাক্ষাত। মংগলবার , উইক ডে হলেও তাঁর সাথে গনমাধ্যমের এই আলাপ পরিচয় হতে অনেকেই এলেন। জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে গিয়ে এবার যেন অনেক মিস করলেন ফার্স্ট সেক্রেটারি ( প্রেস) নুর এলাহী মিনাকে। বেশ ক’বছর তিনি এখানে থেকে আমাদের সাথে যেন হৃদয় ঘনিস্ঠ ছিলেন । তিনি সম্প্রতি দেশে ফিরে গেছেন কিন্তু তাঁর অফিসের দরোজায় নাম লেখা প্লেট এখনো আছে। কাউন্সিলর নাসির ভাই আন্তরিক ভাবে সবাইকে ফোন করে আমন্ত্রন করেন ।

মুহিত ভাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে একসাথে যাবো বলে পরিকল্পনা করেছিলাম নিহার সিদ্দিকী ভাই , আবিদ রহমান ভাই ও আমি। সময় মতো পৌঁছানোর আগেই অনুস্ঠানে গিয়ে দেখা হলো তাঁর সাথে। তাঁকে বললাম আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় ও কিংবদন্তী রোকেয়া হায়দার আপা। তিনি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানালেন তাঁকে আমার সালাম পৌছে দেবেন। সাথে ছিলেন জাতিসংঘ মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি ও আমার ঘনিস্ঠ ড. মনোয়ার ভাই। অনেকদিন আগেই তিনি অন্য দেশে দেখবো রাস্ট্রদুত হিসেবে। জানা গেলো সহসা যাবেন মিয়ানমারে। কাউন্সিলর জনাব নাসির আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করলেন মাননীয় রাস্ট্রদুতকে। পাশে মন্চে থাকলেন ড. মনোয়ার।

মুহিত ভাই সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি লিখিত বক্তব্য পড়লেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের অনেক সাফল্যের অনেক অসাধারন গল্প। তাঁর পড়া শেষ হতেই কিছু সাংবাদিক বন্ধুরা প্রশ্ন শুরু করেন। কিছুটা সময় আমি তাঁকে বললাম , আমাদের প্রাথমিক কাজ হওয়া উচিত সবার সাথে আলাপ পরিচয় পর্ব। এরপর তাই হলো এবং মিশনের কর্মকর্তাদের সাথেও পরিচয় হলো। তাঁর পক্ষ থেকে সবাইকে উপহার দেয়া হলো বাংলাদেশ সরকারের ডাইরি ও ক্যালেন্ডার। সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া , নিহার ভাইয়ের ক্যামেরায় পোজ দেয়া ইত্যাদি শেষে বিদায় নেয়ার সময় এবার হলো।