অতিপ্রাকৃত অরন্যে

জাকিয়া রহমান

স্বপ্নের অলীক পৃথিবীতে একদিন,

আধো আলো অন্ধকার অরন্যে,

চলেছি কত পথ, আমি যেন উদ্ভ্রান্ত!

জানিনা কত কাল ধরে। 

সময় যেন হিমায়িত চিরকাল,   

নিজ ঠিকানা- এক অজানার উপলব্ধি।  

আমি ছিলাম বড়ই শ্রান্ত!

 

সেথা অতিপ্রাকৃত বৃক্ষরাশির প্রায় নগ্ন বাকলে,

ছিটকে পড়েছিল আলো।

অপরিতৃপ্ত মৃত্তিকার রঁজন ছিল তাম্রাভ!

ক্লেদাক্ত সর্পিল পথ কুহেলী হেঁয়ালিতে,

জানা নেই কোথায় উধাত্ত। 

 

বৃক্ষশাখা ও গ্রন্থি আর নিরবয়ব পাতার সাজে,

ছিল কিছু সবুজ ছোপ আর বিবর্ণতা

আর চতুর্দিক নিষ্প্রতিভ।

কি জানি কিসের অন্বেষণে-

চলেছি আমি এক দিশাহীন পথিক!

লক্ষ্য অনির্দিষ্ট আর আমি সে গোলকধাঁধায় অপ্রতিভ। 

 

সে অবর্ণিত  স্বপ্নের প্রহেলিকা,

মানস পটে আজও আঁকা। 

সঞ্চিত আবেগের অনুরুপ,

সেই দৃশ্য আমি আঁকি এখনো-

ভীতি উদ্ভাবিত সান্নিধ্যে সেই রহস্যময় রূপ।