মহামারি কোভিডের কারনে ২০২০ সালে টুরিস্ট ভিসা বন্ধ হওয়ার ৩০ মাস পেরিমহামারি কোভিডের কারনে ২০২০ সালে টুরিস্ট ভিসা বন্ধ হওয়ার ৩০ মাস পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলপথে ভারতে-বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করতে পারছেনা, প্রায় ১২টি জেলা শহরের মানুষ যেমন ভোগান্তিতে পড়েছে, তেমনিকরে সরকার গত ৩০ মাসে প্রায় ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্ছিত হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম জানালেন দর্শনা-গেদে স্থলপথে বাংলাদেশীদের জন্য টুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা আসেনি।

সরেজমিন খোজ নিয়ে দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশ সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ব মহামারি কোভিডের কারনে গত ২০২০ সালের ২৬ মার্চ দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরের মাধ্যমে স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে টুরিস্ট সহ অন্যান্য ভিসার পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত পুরোপুরি স্থগিত করা হয়। কিছুদিন পর মাস্ক বাধ্যতামুলক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথে ভারত থেকে মালামাল আমদানি শুরু হয়। ২০২১ সালের ১৭ মে থেকে ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশীদের দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলপথের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনার একটি নির্দেশনা জারি করা হয়একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুধুমাত্র মেডিক্যাল ও বিজনেস ভিসায় দর্শনা-গেদে হয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবে বলে পুলিশ জানায়।

সব শেষ চলতি বছরে গত ২৯ মে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনের মাধ্যমে চলাচল শুরু হলেও অদ্যবদি দর্শনা-গেদে স্থলপথে বাংলাদেশীদের জন্য টুরিস্ট ভিসা চালু হয়নি। কুস্টিয়া আড়ুয়া পাড়ার এক বয়স্ক মহিলা পাসপোর্ট যাত্রী দর্শনা চেকপোস্টে দাড়িয়ে সাংবাদিকদের জানালেন কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ ,মাগুরা ,মেহেরপুর, রাজবাড়ি, চুয়াডাঙ্গা সহ এ অঞ্চলের ১০/১২টি জেলার মানুষ টুরিস্টভিসায় দর্শনা-গেদে স্থলপথে যাতায়াত করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বেনাপোল-হরিদাসপুর দিয়ে ভারত যেতে হচ্ছে।

এতে গরমে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। যাতায়াত খরচ হচ্ছে দ্বিগুন থেকে তিনগুন। তিনি জানালেন কুষ্টিয়া মাগুরা মেহেরপুর সহ আসপাসের জেলা থেকে দর্শনা চেকপোস্টে আসতে খরচ হয় মাত্র ৫০ থেকে ৮০ টাকা। আর দর্শনা থেকে ভারতের গেদে রেল স্টেশনে পায়ে হেটেই যাওয়া যায়। সে হিসেবে কুষ্টিয়া থেকে যশোরের ভাড়া এক শ টাকা,যশোর থেকে বেনাপোলের ভাড়া ৫০ টাকা,বেনাপোল থেকে ভারতের বনগাঁও রেলস্টেশনে পৌঁছাতে জন প্রতি খরচ দেড়শো টাকা।