ছোট বেলায় আমি খুব দুষ্ট প্রকৃতির ছিলাম ঠিক মত পড়া লিখা করতাম ঠিক মত স্কুলে যেতাম না ফাঁকিবাজ ছিলাম। আমার পকেটে নাকি ব্লেড থাকতো আর আমি আমাদের নতুন লাগানো সুপারি গাছ,কাকা দের নতুন লাগানো সুপারি গাছ প্রায় সবগুলোর পাতা কেটে ফেলে ছিলাম তার জন্য প্রচুর উত্তম মধ্যম খেতে হয়েছে আম্মার। এই কথা দাদু,ফুপি, চাচি, আম্মা,বাবা,বড় আপা এবং ভাইয়াদের থেকে শুনেছি। প্রথমিক বিদ্যালয়ে যখন পড়ি তখন স্কুল ছুটি হয়ে গেলে বই রেখে ঘরে থেকে বেরহবো তার কোন উপায় ছিলো না আম্মা হাত দরে নিয়ে আমাকে ঘুম পাড়াতে নিয়ে যেতেন এবং বিভিন্ন মজার মজার শিক্ষনীয় গল্প শুনাতেন আম্মা মুখে মুখে পড়াতে সদা সত্য কথা বলিব কখনো মিথ্যা বিলিবো না। মিথ্যা বলা মহাপাপ।চুরি করা বড় দোষ মনে যেন রয় না বলিয়া লইলে চুরি করা হয়।সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।
আম্মার মুখে মুখে পড়াতে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম বলতে পারবো যখন ঘুম থেকে উঠতাম তখন মনে হতো ভোর হচ্ছে আসলে সন্ধ্যা হচ্ছে। আরো কতকথা বড়দের সামনে মাথা উচু করে দাঁড়াতে নেই চোখ যেন নিচের দিকে থাকে।কোন অনুষ্ঠানে বড় কাউকে দেখলে তুমি বাসা থাকলে উঠে ওনাকে বসতে দিবা। হয়তো মনের ভূলে বা অন্য মনস্ক ছিলাম আমার চাচি আম্মা এসেছে আমি মোড়ায় বসে আমার কাজে ব্যাস্থ্য তখনই আম্মা এমন ভাবে যুবরাজ ডাক দিতেন নেনো সেকেন্ডে বুঝে যেতাম মোড়া টা চাচি কে দিয়ে বসতে বলতে হবে। কত কথা কথ স্মৃতি হৃদয়ে আছে। মজার আর একটা ঘটনা লেদা কালে দুপর বেলায় ভাত খেয়েছি তার কিছুক্ষণ পরে নাকি আমি ব্লেড দিয়ে আমার পেট কেটে ফেলেছি পেটের মধ্যে ভাত কিভাবে থাকে তা দেখার জন্য বাবা বাড়িতে থাকায় তিনটা সিলাই দিয়ে রক্ত বন্ধ করেছে। এখন তো বুঝলেন কেমন দুষ্ট ছিলাম।
বাপজান পৃথিবীর পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরাও এখন যান্ত্রিক হয়ে গেছি শহরে কাজের বাহিরে মন খুলে কথা বলার লোক নাই সবাই যার যার অবস্থান থেকে ব্যাস্থ হয়তো কোন বন্ধুকে ফোন দিলাম কেন ফোন দিলাম জিজ্ঞেস না করে বলবে দোস্তো ১০ মিনিট পরে তোকে কল করবো আর কথা হয় না।এমটা আমি যে করিনা তা কিন্ত না আমি তার মধ্যে কম বেশি পড়ি।আমি যে ফ্লেটে থাকি ওখানে ২৯ টি পরিবার থাকে আমাকে সবাই ছিনে আমি কম বেশি ছিনি কিন্তু কে কোন ফ্লেটে থাকে আমি জানি না।মোবাইল ফোন হাতে আসার পরে আমরা সেকেন্ডে সেকেন্ডে মিথ্যা বলি অথবা সঠিক কথা না বলে অন্য ভাবে বলি তাই অনেক সময় মোবাই ব্যাবহার থেকে বিরত থাকি বিশেষ করে যখন শরীর এবং মন দুইটা ই খারাপ থাকে।
আপনাকে আমি বাপজান ঢাকি এটা আল্লাহ চাহেতো আমাদের পরিবের সকলে জানে আমার বন্ধু বান্ধব সবাই জানে আমি আমার অন্তর থেকে আমার মরহুম আব্বা ডাক্তার গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী সেলিম ওনাকে যেভাবে ভালোবাসি,সম্মান করি একই ভাবে আমার হৃদয়ে জনাব আকবর হায়দার কিরন সাহেবের অবস্থান থাকবে যতদিন আমি বেঁচে থাকি। বাপজান আপনার সাথে আমার অনেক মিল আছে আপনি যেমন যা আয় করেন সব ব্যায় করেন মানুষকে খুশি করার জন্য আমি আপনার মত সব ব্যায় করিনা কিছু সঞ্চয় করি আমার ইলমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে।তাও যত সামান্য আলহামদুলিল্লাহ পৃথিবীর বিলিয়ন মানুষ থেকে ভালো আছি আমার আমি কোটি টাকার মালিক হবো স্বপ্ন দেখিনা আল্লাহ যে ভাবে রেখেছে তিন যেন মৃত্যু আগে পর্যন্ত এমটাই রাখেন। আমি এবং আমাদের পরিবারের সবাই আপনার জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আপনাকে হায়াতে তৈয়বা দান করেন।সবসময় সবখানে ভালো এবং নিরাপদে রাখেন।
আমার আম্মা এবং বাবার আদেশ ছিলো বড় যত আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসবে আসার সাথে সাথে কদমবুচি করতে হবে এবং ওনারা যখন চলে যাবেন বাড়ির সকলে মিলি বিদায়ী দেওয়ার সময় আবারো যখন পা চুয়ে সালাম করতাম আম্মা ও বাবা একসাথে বলতে আমাদের ছোট মিয়ার জন্য দোয়া করবেন একদম পড়ালিখা করতে চায় না সারাদিন সুধু দুষ্টামি করে।মেহমান গন বলতেন বয়স কম সব ঠিকহয়ে যাবে এই বয়সে সবাই একটু আদটু দুষ্টামি করে ওনারা তখন আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। বর্তমান যুগে আধুনিক মোল্লাগন ওয়াজ মাহফিলে বলেন কদমবুচি করা যাবেনা। তার পরও আমি এই শরীর নিয়ে চেষ্টা করি সালাম করতে। আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন।