গত ৯ জুলাই ২০২২, অগ্রজপ্রতীম বন্ধু দোলক আহমেদ একটি পেপার ক্লিপ পোস্ট করেছেন তাঁর টাইমলাইনে। লিখেছেন- ‘একাশিতে আমাদের কাওসার ভাই’। ওটাতে আমার সেই সময়ের একটি ছবিসহ ছোট্ট একটি প্রোফাইল আছে। ওখান থেকে সংগ্রহ করে আমি সেটা আজ আপনাদের জন্য তুলে দিলাম ফসবুকের দেয়ালে। দোলক ভাই, @ Dulok Ahmed -এই ক্লিপটি সংগ্রহ করে ফেসবুকে দেয়ার জন্য আপনাকে হাজারো ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাই।

এই রিপোর্টটি সম্ভবত ছাপা হয়েছিল ‘সাপ্তাহিক চিত্রালী’তে, ১৯৮১ সালে। আমাদের মতো ‘নবাগত’ আর ‘রবাহুত’দের কোন কর্মকাণ্ডের খবর- কোন খবরের কাগজে ছাপা হওয়ার মতো যোগ্যতায় আমি তখনো পৌঁছাই নি! তখোন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ছেড়ে সবেমাত্র টিভি নাটক শুরু করেছি- হাঁটি হাঁটি পা পা করে! সেই অবস্থায় খবরের কাগজের পাতায় নিজেকে দেখে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম ভীষণ!খবরের কাগজ, তাও আবার ‘চিত্রালী’র মতো পত্রিকায়! ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘অবজারভার’ গ্রুপের এই পত্রিকাটি তখোন মূলত চলচ্চিত্রের তারকা দিয়ে ঠাসা থাকতো। সেই পত্রিকার পাতায় আমার মতো ‘রবাহুত’ এক ‘নাদানে’র ছবিসহ নিউজ দেখে ‘জ্ঞান হারাবার’ দশা আর কি! তবে এই নিউজ নিয়ে অনেক বড়ো বিপদেও পড়তে হয়েছিল সেই সময়ে। সে কথা বলার উদ্দেশ্যেই মূলত এই লেখাটির অবতারণা! তবে তার আগে একটু পেছনে ফিরতে চাই।

‘৭৮ সালে থেকে ‘প্রাণ তরঙ্গ’ নামে (কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত) একটি টিভি অনুষ্ঠান আমি উপস্থাপনা করতাম অ-নিয়মিতভাবে। আমি নিজেও তখোন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ সম্মানের ছাত্র। থাকি সূর্য সেন হলের ৫২২ নম্বর সিঙ্গেল রুমে। ‘সিঙ্গেল রুমে’ কথাটি বললাম এই কারনে যে, তখোন কোন ছাত্রের ‘সিঙ্গেল রুমে’ থাকতে পারাটা বিশাল একটি ব্যাপার হিসেবে দেখা হতো! আমি অবশ্য ভালো পড়াশোনার জন্য ওই ‘সিঙ্গেল রুম’ পাই নি তখোন। পেয়েছিলাম, সূর্য সেন হল ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক (১৯৮০- ’৮১ শিক্ষাবর্ষে) নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে। এর আগে (১৯৭৯) অবশ্য ৪৩৯ নম্বর কামরায় (ডাবল সিটেড) ‘সিট’ পেয়েছিলাম ডাকসু সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জনের সুবাদে। যাক গে, ওসব নিয়ে পরে না হয় একদিন ‘বয়ান’ দেয়া যাবে। এখন ফিরে আসি এই পেপার ক্লিপটিতে।

সেই সময়ে আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধু জিতুর মাধ্যমে আমি পরিচিত হই তাঁরই আরেক বন্ধু সাইদের সাথে। সেই সাইদ আবার চিত্রালীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এস এম পারভেজ (সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজ)-এর ভাগ্নে। সেই সাইদ একদিন বলে বসলো- কাওসার ভাই, আমি চাইলে আপনার একটা ইন্টারভিউ চিত্রালীতে ছাপিয়ে দিতে পারি। সাইদের কথা শুনে মনে হলো- ইশ্বর যেন স্পেশাল একটা এসাইনমেন্ট দিয়ে সাইদূরকে পাঠিয়েছেন আমার কল্যাণ করার জন্য! কারন, সেই সময়ে কারো কোন খবর ‘চিত্রালী’তে ছাপা হওয়া, আর ‘স্বর্গের ডেইলী বুলেটিনে’ ছাপা হওয়া প্রায় সমান কথা ছিল!কথা শুনে আমি সাইদের মনতুষ্টির জন্য পকেটের সকল টাকা উজাড় করে মধুর ক্যান্টিন কিংবা টিএসসি ক্যাফেটারিয়ায় খাওয়াতে চাইলাম! অবশ্য এর চাইতে বেশী ‘হেড়ম’ তখোন ছিল না; এখনো যে খুব বেশী আছে তাও নয়! কিন্তু কপাল ভালো, সাইদ ওই সামান্য খানাপিনা কিংবা ‘উৎকোচ’এর মধ্যে গেলো না। ভাগ্যিস, ওসবের মধ্যে যায় নি সাইদ, নইলে ওকে সেদিন খাওয়াতে (অন্যান্য বন্ধুসহ) গিয়ে ফতুর হয়ে যেতাম। তখনো কিন্তু তিন’শ থেকে পাঁচ’শ টাকায় মাস চালাতাম খুশী মনে, হেলেদুলে। আহা, বিশ্ব বিদ্যালয়ের সেই সোনালী সময়; তোমায় (সেই সময়) মিস করি খুব!

যাই হোক। সাইদ সেদিনই তার খাতা খুলে আমার কিছু ‘প্রয়োজনীয় তথ্য’ নোট করে নিয়ে গেলো। তারই নোট ভিত্তি করে কোন একজন রিপোর্টার সাহেব এই ‘এক স্লিপের’ মত রিপোর্টটি ছাপিয়ে দেন চিত্রালীতে। কী সৌভাগ্য আমার! সেই সাংবাদিক সাহেব, বন্ধু সাইদ আর জিতুকে- আজ ৪১ বছর পরে আবারো অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।আজ এত বছর পরে এই রিপোর্টটি পড়ে খুব মজা পেলাম। রিপোর্টার ভাই এক জায়গায় লিখেছেন- “মঞ্চাভিনয় ছাড়াও তিনি রেডিও এবং টেলিভিশন নাটকে অংশ নিয়ে থাকেন। তবে রেডিও টিভির প্রায় নাটকেই তাকে দেখা যায় না!” হা হা হা......! প্রথম কথা হলো- ‘রেডিও নাটকে’ কাওকে দেখার কোন সুযোগ নেই; ওটা ‘শ্রুতি’র বিষয়। দ্বিতীয়ত, আমি তখোন ‘সুদীর্ঘ অডিশনে’ পাশ করে টিভি নাটকে যাত্রা শুরু করেছি কেবল। টিভি নাটকে ‘নিয়মিত’ হলাম তো আরো বছর দুই পরে। বিটিভি’র ‘সুদীর্ঘ অডিশন’ নিয়ে বিস্তারিত লিখবো একদিন।

তবে সেই সময়ে এই নিউজের ‘ক্যাপশন’ নিয়ে গোল বেধেছিল বেশ! রিপোর্টার সাহেব মনের মাধুরী মিশিয়ে ক্যাপশন লিখেছেন- “সফল মঞ্চাভিনেতা” কাউসার চৌধুরী! তখোন আমার সহযোগী নাট্যকর্মীরা আমাকে পেয়ে বসলো। বললো- তোর তো হয়ে গেছে, “সফল” হয়ে গিয়েছিস, নাটক করে আর কাজ কি, অন্যকিছু কর! কিন্তু তাদেরকে কিছুতেই বোঝানো গেল না যে- ক্যাপশনটি আমি দেই নি, দিয়েছে ওই সাংবাদিক মহাশয়! এ নিয়ে অবশ্য বন্ধুদের মাঝে আমাকে বেশ ‘ভূগতে’ হয়েছিল অনেক দিন।১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়তে এসে, পড়াশোনার পাশাপাশি মঞ্চ নাটক শুরু করেছিলাম ‘পদাতিক নাট্য সংসদে’। সোলায়মান ভাই (এস এম সোলায়মান) পরে ‘ঢাকা পদাতিক’ তৈরি করলে আমি তাঁর সাথে ‘ঢাকা পদাতিকে’ চলে আসি। তারও অনেকদিন পরে ‘৮৫তে আমি ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’এ চলে যাই। এখন পুরোপুরি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে নিয়োজিত থাকায় ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’এ-ও নিয়মিত নই! নাগরিকে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলাম ‘গ্যালিলিও’তে। ছোটলু ভাইয়ের (আলী যাকের) স্বাস্থ্যের অবনতি হলে ‘গ্যালিলিও’র প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে মঞ্চ নাটকে আমিও অবসরেই আছি বলা যায়!

কথাগুলো বললাম- নিউজের যে সব নাটকের কথা এবং যে দলের কথা বলা আছে- তার সাথে আমার পরবর্তীকালের নাট্যজীবনের সেতু তৈরি করবার জন্যে।নিউজটি ঘিরে এই ছিল অতীতের কাহিনী। কিন্তু নতুন একটি কাহিনী রচিত হয়েছে এই নিউজ ক্লিপটি ঘিরে; যা আরো মজাদার, আরো রোমাঞ্চকর! তিন চার দিন আগে দোলক ভাই ক্লিপটি আপলোড করার পরে কয়েকজন বেশ রেসপন্স করেছেন তাঁর টাইমলাইনে। সেখানে ফেসবুক বন্ধু KZ Tinku আমার সম্পর্কে জানতে চেয়ে লিখেছেন- ‘এখন দেখা যায় না, কোথায় তিনি’। তার উত্তরে ফেসবুক বন্ধু Taufique Mohiuddin লিখেছেন- ‘সন্ধার পর ধানমন্ডি ২৭ এ বেঙ্গল বুকসে পোলাপানের সাথে অলস আদ্দা দেয়’ (উনি ‘আড্ডা’ বুঝিয়েছেন সম্ভবত)! এরপরে KZ Tinku আবারো জানতে চেয়েছেন- ‘করে কি’? ফেসবুক বন্ধু- Taufique Mohiuddin সাহেবের উত্তর- ‘কিছু মনে হয় করতে চায়, সুবিধা করতে পারছে না’! KZ Tinku শেষবারের মত জানতে চেয়েছেন- ‘কি করতে চায়, যেটা সুবিধা করতে পারছে না।’ এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য Taufique Mohiuddin আর দেন নি ওখানটায়! আমি বেশ মজা পেয়েছি উনাদের কথোপকথনে!

এফবি বন্ধু Taufique Mohiuddin সাহেব খুব চমৎকার করে লিখেছেন আমার সান্ধ্যকালীণ আড্ডা নিয়ে যে, ‘সন্ধার পর ধানমন্ডি ২৭ এ বেঙ্গল বুকসে পোলাপানের সাথে অলস আদ্দা (আড্ডা) দেয়’! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তৌফিক সাহেব। কিন্তু মজার বিষয় হলো- আড্ডা দেওয়ার সময় ‘অলস’ না হয়ে ‘নিরলস’ থাকার কোন সুযোগ নেই রে ভাই! ‘আড্ডা’র বিষয়টিতে ‘অলসতার’ একটি ব্যাপার কিন্তু জড়িত থাকে। মানুষ অবসর কিংবা অলস সময়েই মূলত আড্ডা দিয়ে থাকে, নিরলস সময়ে নয়। পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু’র ‘আড্ডা’ শিরোণামের একটি নিবন্ধে আড্ডার একটি রূপ মোটামুটি পাওয়া যায়। বিস্তারিত পরিসরে লেখা সেই নিবন্ধে তিনি যে কথাটি বার বার বলতে চেয়েছেন তা হলো- 'আড্ডার কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাকরণ নেই। ক’জন সমমনা মানুষ একটি জায়গায় বসে, এক কিংবা একাধিক বিষয়ে, অনির্ধারিত সময় ধরে যে আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক, আবেগ-উচ্ছাস, ভালোলাগা না-লাগার যে কথাগুলো বলতে গিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তোলে- সেটাই মূলত আড্ডা! এই আড্ডার কোন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেই, সেই সভার কোন পতি (সভাপতি) নেই, সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নেই! পোষাক-আসাকে কড়াকড়ি নেই, ধুমপানে বাধা নেই, বয়সের প্রতিবন্ধকতা নেই।'

আড্ডায় দৃশ্যমান ‘আকর’ হিসেবে কখনো কোন দলিল দস্তাবেজ, ফটো, পুস্তক, চিত্রকলা, কলম-তুলি এমন কি পিঠা-পুলিও আসতে পারে! আর আজকালকার আড্ডায় অডিও-ভিডিও তো অন্যতম এক শক্তিশালী আকর বটে! Taufique Mohiuddin সাহেব, আপনিও কিন্তু সময় পেলে ‘পোলাপানের সাথে আমার আড্ডা’য় আসতে পারেন। আমি খুশী হবো নিশ্চই। তবে কথা হলো- আপনি নিজে কোন ‘ভাগে’ পড়েন আমি জানি না। ‘পোলাপান’ নাকি ‘বুড়োদের’ দলে? তবে আমি কিন্তু ভাই ‘বুড়োদের’ সাথে আড্ডা দেই না। কারন, ‘অধিকাংশ বুড়োরা’ই (সবাই নয়) পরচর্চা এবং অন্যের পেছনে লেগে থাকাতেই সময় ব্যয় করেন বেশী।পক্ষান্তরে আজকালকার ‘পোলাপানের’ কাছে শেখবার কিংবা জানবার মতো অনেক কিছুই আছে বলে মনে করি। তাঁরা গোটা দুনিয়ার খবর রাখেন। সেই দুনিয়া নিয়ে তাঁদের মতামত আর দৃষ্টিভঙ্গিও কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বেশ আধুনিক এবং চাঞ্চল্যকরভাবে সুন্দর। তাঁরা বেশ মেধাবীও বটেন। তবে পাশাপাশি নিরেট ‘উল্টো ধরণে’র কিছু তরুণও আছেন বটে। যারা একেবারেই সীমিত জ্ঞান নিয়ে চেঁচামেচি করে থাকেন! এরমাঝে, কোন কোন তরুণ আছেন যারা দেশ নিয়ে বেশ ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, দেশকে ভালোবাসেন। এটা খুব আশাব্যঞ্জক।

তবে উল্টোটাও আছে! সেই উল্টো ধারার তরুণদের সিংহভাগ স্বাধীনতা বিরোধীদের দ্বারা প্রভাবিত বলে অনুমান করি! আমাদের দেশ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এটা আসলে একটি ‘কম্যুনিকেশন গ্যাপ’- নতুন প্রজন্মের সাথে।আমরা যারা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ বলে দাবী করি- তারা স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মকে যথাযথভাবে স্বাধীনতার ইতিহাস পৌঁছে দিতে সক্ষম হই নি একটা সময় পর্যন্ত! এই ব্যর্থতা নিয়ে অনেক ‘সঙ্গত কারনের’ কথা উল্লেখ করা যেতে পারে; এবং তাতে যথেষ্ট সত্যতাও আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- আমাদের সীমাবদ্ধতার সুযোগে স্বাধীনতা বিরোধীরা সুকৌশলে ‘স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের’ মধ্যে ঢুকে পড়েছে; এবং অনেক বড়ো জায়গাও করে নিয়েছে! স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এটা কোন সুখবর নয়! আফসোস!

তাতে অবশ্য তেমন কিছু যায় আসে না! কারন আমার কাজ হলো- আমার ‘কর্মে’র (প্রামাণ্যচিত্র) মাধ্যমে তরুণদের কাছে আমাদের মহান স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- যথা সম্ভব পৌঁছে দেয়া। আমি সেটা ‘নিরলসভাবে’ করে চলেছি বলে অনেকে বলে থাকেন। আমাদের মহান এই ইতিহাস অধিকাংশ তরুণরাই কিন্তু সানন্দে গ্রহন করে। আগামীতেও করবে; আমি নিশ্চিত। তবে, যারা আমাদের স্বাধীনতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ধোঁয়াশায় আচ্ছাদিত; আমার জীবনের বাদবাকী সময় দিয়ে আমি তাদের ‘বোধে’র কুয়াশাটা কাটাবার চেষ্টা করে যাবো।আপনিও আমাদের আড্ডায় আসতে পারেন বন্ধু Taufique Mohiuddin সাহেব। আপনার কথা, আপনার গল্প, আপনার যুক্তি আমাদের সবাইকে আলোকিত করবে- আমি আশাকরি। আড্ডার পাশাপাশি আপনাকে চা- শিঙাড়াও খাওয়াবো কিন্তু, সাধ্যানুযায়ী।

সবাই ভালো থাকুন, অনেক ভালো। মঙ্গল হোক সবার। ছবিগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনের তোলা। তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ।