চুয়াডাংগার দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির শপথ ও দায়িত্বভার গ্রহন অনুষ্ঠিত হযেছে।  শুক্রবার সন্ধায় প্রেসক্লাব ভবনে এ দায়িত্বভার গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহব্বায়ক মনিরুজ্জামান ধীরুর সভাপতিত্বে নব নির্বাচিত কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণ অনুষ্টানে আলোচনা করেন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আওয়াল হোসেন, চঞ্চল মেহমুদ, সদস্য সাবেক সাধারন সম্পাদক ওসমান আলী, নবনির্বাচিত কমিটির প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব মামুন,। আলোচনা শেষে নির্বাচিত দুটি কমিটির সকলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং দায়িক্তভার বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন,
প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান যুদ্ধ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ রয়েল, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কচি, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আবিদ হাসান রিফাত, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজিব মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহ। সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসমত আলী, দপ্তর সম্পাদক সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাব্বির আলিম, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ওয়াসিম রয়েল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জামান তারিক, কার্যনির্বাহী সদস্য-এফএ আলমগীর, ফরহাদ হোসেন, মনজুর আহমেদ। উল্লেখ্য গত ৭ এপ্রিল শুক্রবার দর্শনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতি নামে দুটি সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
 চুয়াডাংগার  দর্শনা উজলপুর গ্রামে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে আনিছ উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আনিছ উদ্দিনকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসী। গতকাল শুক্রবার দুপুরে দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ, এসআই আহাম্মদ আলী বিশ্বাস ও এসআই সুজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের   মৃত রহমান মন্ডলের ছেলে আনিছ উদ্দিন (৫৫) গ্রামের ছটাংগার মাঠে তার নিজ জমিতে একটি কোরআন শরিফ পোড়ায়। এরপর মাঠ হতে গ্রামে ফিরে তা মানুষের নিকট প্রচার করে। এমন খবর শুনারপর তার সত্যতা যাচাইয়ে মাঠে যায় গ্রামের লোকজন। ঘটনাস্থলে যেয়ে কোরআন শরীফ পোড়ানোর সত্যতা পায়। পুলিশে খবর দিলে দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ আমান, এসআই আহাম্মদ আলী বিশ্বাস ও এসআই সুজন ঘটনাস্থল পৌছে প্রাথমিক তদন্ত শেষে কোরআন শরীফ পোড়ানোর অপরাধে আনিছ উদ্দিনকে আটক করে। 
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল সে একটি কোরআন শরিফ আংশিক পুড়িয়ে গ্রামের
আব্দুল করিমের ছেলে নজর আলী মাস্টারের বাড়ির গেটের সামনে রেখে যায়। পরে পুলিশ খবরপেয়ে সরজমিন পরিদর্শন করে কোরআন শরিফটি উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, আনিছ উদ্দিন বেশ কিছুদিন মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবে চলাফেরা করছে। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এসএম আমান উল্লাহ আমান জানান, পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়ানোর অপরাধে ২৯৫ ধারায় মামলা দায়ের করে আসামীকে চুয়াডাঙ্গা কোট হাজতে পাঠানো  হয়েছে।