এম আব্দুর রাজ্জাক বগুড়া থেকে : যেদিকেই চোখ যায় সবুজের সমাহার। ইরি বোরো ফসলের মাঠ যেন সবুেজর গালিচা। চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এবারও ইরিবোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষক আশা করছেন।আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়ন মিলে এবার ১২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ইরিবোরো ধান চাষ করা হয়। এরমধ্যে জিরাশাইল, কাটারী ভোগ, ব্রি-আর-৮৯, ব্রি-আর-৯০সহ বেশ কয়েক জাতের ইরি বোরো ধান রোপন করা হয়।
চলতি মৌসুমে ইরিবোরো ধান গাছে তেমন কোন রোগবালাই দেখা দেয়নি। ধানের শীষ ভাল রাখতে কৃষকরা সার্বক্ষনিক পরিচর্যা ও রোগবালাই দমনে তীব্র রোদের মধ্যেও কৃষকরা তাদের জমিতে কীটনাশক স্প্রে-করছেন। সবুজে ঘেরা ইরিবোরো ধানের মাঠ দেখে যেন এক মূহুর্তের জন্যেও বিশ্রাম নেয়ার ফুরসত নেই কৃষকদের।মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে ইরিবোরো ধানের গাছ পাতা শীষ আর আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে আগাম জাতের ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে। উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান. কোমারপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেন জানায়, এবার ক্ষেতে রোগ বালাই কম ও সেচ সংকট না হওয়ায় ইরিবোরো আবাদ ভাল হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও বাম্পার ফলন আশা করা যাচ্ছে। আদমদীঘি উপজেলা কুষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারি জানায়, কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা ধান গাছের সঠিক নিয়মে পরিচর্যা ও রোগবালাই নাশক ব্যবহার করায় ধান উৎপাদন ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ইরিবোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।