কতটা পুড়লে মানুষ খাঁটি হবে

-  জাকিয়া রহমান 

 

কলমটা না জানি কখন পুড়ে পুড়ে হয়েছে খাক!  

হৃদয়ের দুয়ারটা ভেঙ্গে দিয়েছিল কে কখন, নেই জানা। 

সেখান থেকে বিতাড়িত কতকাল আগে-

আমার সফেদ পদ্ম অনুভুতির দীপ দিশা।  

যে আলোর ছটায় মন ছিল উদ্ভাসিত, 

যত কালিমা বিতাড়িত করার উচ্চাশা। 

 

সে হৃদয়টা আজ রক্তিম প্রেমের আধান ত্যাগি, 

হয়ে গেছে বিষাক্ত এক জগদ্দল শিলা পুঞ্জ।  

দৃষ্টির পরিব্যাপ্তি হয়েছে সীমিত,    

চোখ দুটি কবে জানি হয়েছে অর্ধ দগ্ধ, এক রন্ধ্র।    

কিছু কিছু করে অবলোকন আর কিছু দেখেও দেখেও দেখেনা।   

তবুও মানুষ বটে! আত্না মানে না এ ছলনা! 

 

বিবেক কাঁদে দিবা রাত্র আত্নার কানে, 

সর্বহারার চিৎকার সোচ্চার আর হাহাকার স্বপ্ন ভাঙ্গার। 

করে উপঘাত, করে চুরমার!

জগদ্দল পাথরের মতো হৃদয়ের নিভৃত অবস্থান,

ধ্বসে পরে সে কঠিন শিলা পুঞ্জ আধান!  

অনলে পুড়ে পুড়ে কবে হয়ে গেছে  -

মানস পটের চিত্র সুদৃশ্য চেনা বীথিকার আবেদন,   

গোধূলি বেলা পেরিয়ে ছেয়েছে তিমির অস্পষ্টতা কখন।   

 

তাই আমার লেখনিতে নেই  ছন্দ, বোঝেনা সে কিছু কবিতার-  

মন ভাবাবেগ নির্ঝর হয়ে ঝরে না, শুধু শোনে চিৎকার। 

কি যে লিখে যায়, মনে হয় যেন পুড়ে হয়েছে নির্বাক অঙ্গার!   

প্রশ্ন জাগে কতটা পুড়লে, কতটা পুড়লে আর- 

মানুষ হয় খাঁটি, তা তো কোনদিন কেউ পারল না মাপতে।-   

চারদিকে যত দশা বিগ্রহ বেড়ে গেছে অনলের মত জ্বলতে।  

অনলের বাড়ন্ত শিখা যেন ভক্ষক, সুখের হন্তা!   

কিসের হিংসা দমশে ফেলে পদক্ষেপ করতে চুরমার?  

কোন অপরাধের এই শাস্তি কেন এতো এই তিরস্কার? 

 

(বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডকে উপলদ্ধি করে লিখিত)