বন্যার ছবি

- জাকিয়া রহমান

মনের সুখে ছবিয়াল ছবি তোলে 

মাঠ-ঘাটের, বর্ষায় ডোবা জলে।    

দূরে দূরে চারিদিকে শুধু দেখা যায়,  

অথৈ জলে ডুবে গেছে সব হায়!  


ডুবে গেছে জুলেখা কি জোহরার মাটির ছাউনি।  

গুল্মলতার ছায়া সেথা জলে, কি এক রূপিণী-  

যেন অপূর্ব জলরঙে আঁকা ছবি, মনে হয় জীয়ন্ত।  

ছবিয়াল তার ছবি দেখে নিজেই দারুণ মোহিত-  

কতজনের চমকদার বুলির উচ্ছল প্রশংসায়,   

মাতোয়ারা ছবিয়াল হাজার ছবি শুধুই তুলে যায়।   


 

প্রশ্ন ছটফট করে কি ভাবনার খাঁচায়-  

এই জল রঙের উৎপত্তি কোথায়? 

ঐ ডুবন্ত কুঁড়ে ঘর আর মাঠে ঘাটে- 

আশার স্বপ্ন আর সুখ ছিল এই বাটে।  

 সূর্য উঠত হাতছানি দিয়ে নতুন দিনের পুলকে, 

রূপকথা শুনে খোকা খুকি হারাতো কল্পলোকে। 

ছবিয়াল জানে না কেড়ে নিয়েছে সব এ জলে,  

জরিনা কি জুলেখার স্বপ্নের রং, সব গেছে গলে। 

উশৃংখল বানের জলে ধুয়ে গেছে সাধের স্বপ্ন সবি, 

সে স্বপ্নের রঙ হয়ে গেছে এই জলরঙে আঁকা ছবি।  


 

এ ছবি নয়! রোষে ধাবিত স্বপ্নের গলিত দেহ।  

এ ছবি নয়! শুধু অশ্রুজল! সাথী নেই কেহ।  

এ ছবি নয়! জলজ্যান্ত ধ্বংসের জলধি।  

এ ছবি নয়! ধ্বসে পরা আশার সমাধি।  

বন্যার ছবি তুলেছেন Masud Rana, ঢাকা।