ডঃ সিদ্দিক ও আবদুস সামাদ আজাদ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির অনুমোদন ছাড়া এবং জননেএীর অনুমোদিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটির শূন্যপদ পূরনের নামে অগঠনন্ত্রাএিকভাবে ও স্বৈরাচারিকাদায় যেভাবে রদ-বদল করে চলচ্ছেন তা জননেএীকেই চরম অসম্মান করার সামিল! এ ধরনের রদ-বদলের ফলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভিতর এক চরম অবস্থা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ জন্মের ৩৭ বছরের মধ্যে এ রকম দুঃসময় আর কখনো আসে নাই।গতকাল ২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইস্টস এক রেস্তারায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ পরিবারের এক কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে সকল গনতান্ত্রিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদান, ৫২এর মহান ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট  সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ,৩রা নভেম্বর জেল প্রকষ্ঠে নিহত জাতীয় ৪ নেতা, ২০০৪ এর ২১শে আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.প্রদীপ  রঞ্জন কর, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ,আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোঃ বখতিয়ার আলী, সদস্য কায়কোবাদ খান,সদস্য আসাফ মাসুক, আওয়ামী লীগ নেতা জালাল উদ্দিন জলিল, আকতার হোসেন, খসরুল আলম, দেলওয়ার হোসেন মোল্লা, যুব লীগ নেতা জামাল হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রুমানা আক্তার ও ছাএলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। যুক্তরাস্ট্র আওয়ামী লীগ পরিবারের এক জরুরী কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা 

ড. প্রদিপ রঞ্জন কর এবং যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন এডভোকেট শাহ মোঃবখতিয়ার আলী ও কায়কোবাদ খান।

কর্মী সভার শুরুতে সভার সভাপতি উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সামনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভিতর এক চরম অবস্থা বিরাজ করছে সেই প্রেক্ষাপট তূলে ধরেন। তিনি বলেন, ড. সিদ্দিকুর রহমান স্বৈরাচারী কায়দায় গত ১৩ বছর দল চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি গঠনতন্ত্রের কোন প্রকার তোয়াক্কা করেন না। অনবরত মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে দলের নেতা- কর্মীদের বিভ্রান্ত করেন।  

ইতিমধ্যেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করেছেন। তার স্ত্রীসহ কার্যকরী কমিটির মাত্র হাতে গোনা ৫/৭ জন লোক তার সাথে আছে। এ কারনে দল ভারী করার উদ্দেশ্যে হটাৎ করে ৫-৭ বছর আগে শূন্য হওয়া পদ এখন পূরন করার তাগিৎ পড়েছে। গঠনতন্ত্র ২৪ (খ) ধারা অনুযায়ী শূন্য পদতো পূরন হতে পারেই। কিন্ত তিনারা কার্যকরী কমিটির মিটিং না ডেকে  স্বৈরাচারিকাদায় গোপনে কর্পোরেশনের মতন পএ মারফত শূন্যপদসহ যে সব পদ পরিবর্তন বা রদ-বদল করার কোন একতিয়ার বা ক্ষমতা তাদের নাই সে সব পরিবর্তন করে তাদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিয়ে নেএীর অনুমোদিত কমিটি রদ-বদল করেই চলচ্ছেন। ফলে দলের মধ্যে চরম অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। তাদের এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতেও তাদের এহেন পদ-বানিজ্য বৈধতা পায়নি, এবারও পাবেনা।

পরে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় তাদের স্ব স্ব মতামত ব্যাক্ত করে বলেন, ডঃ সিদ্দিুকুর রহমানের অপকর্মের জন্যে আমরা হাজার কন্ঠে যেভাবে “নো মোর সিদ্দিক” স্লোগান দিয়েছিলাম, প্রয়োজনে আবারও তার প্রতিধ্বনি হবে। আমরা এবার সম্মেলন চাই। নুতন নেএীত্ব চাই। আপনারা শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হন আমরা আপনাদের সাথে সবশক্তি দিয়ে থাকবো। আর কোন অনিয়ম দলের মধ্যে মেনে নেওয়া হবে না। ডঃ সিদ্দিকুর রহমান সভাপতি হয়ে ব্যবসা আর পদ বানিজ্য করতে করতে তার লাজ-লজ্জা লোপ পেয়েছে। সভায় আরো অন্যান্যরা বক্তারা বলেন, ড. সিদ্দিকুর রহমানের কোন নীতি আদর্শ নাই। সে কোনদিন ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ করে নাই। আজ আমরা একতাবদ্ধ হয়েছি। এই ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে সকল ষড়যন্ত্র নির্মূল হবে। সভায় শূন্যপদ পূরনের নামে অগঠনন্ত্রাএিকভাবে ও স্বৈরাচারিকাদায় যেভাবে নেএীর অনুমোদিত কমিটি রদ-বদল করে নুতন নুতন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। অবিলম্বে এ সব নিয়োগ বাতিল করা হোক। অন্যথায় অচিরেই এ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।