প্রকৃতিতে চলছে শরৎ।এই ঋতুর সঙ্গে প্রণয় রয়েছে শারদ শব্দের। শরৎ আসে পূজার আগাম বার্তা নিয়ে। সেসঙ্গে জানায় এসেছে বিয়ের মরসুম। এসব বিষয়কে সমন্বয় করেই মেলার আয়োজন করেছিল নিউইর্কের অন্যতম আয়োজক বাঙালিয়ানা । শারদ মেলা নিয়ে আয়োজক ডালিয়া চৌধুরী বলেন, ‘সামনে পূজাআসছে। বছরের শেষ চার মাসে বিয়ের হিড়িকও পড়ে। সবাই যেন সুন্দর মনোরম পরিবেশে আনন্দের সাথে পূজা আর বিয়ের শপিং সেরে ফেলতে পারেন তার জন্যই এই মেলা।’ আয়োজক ডালিয়া চৌধুরী মনে প্রানে বাংগালী নিজের দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে চেষ্টা করেন বিদেশের মাটিতে প্রতি বছর বিভিন্ন ঋতু ভিওিক মেলার আয়োজনের মাধ্যমে। তা হোক পোশাকে কিংবা অন্য কোনো পণ্যে। আবার অনেকেই বিদেশে বসে নিজ দেশের অথেনটিক পণ্য খোঁজেন। ক্রেতা আর বিক্রেতা উভয় পক্ষের জন্য বিশ্বস্ত একটি মাধ্যম হতেই কাজ করছে বাঙালীয়ানা। মেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, কুর্তি, কসমেটিকস, ব্রাইডাল গয়না সহ নানান ধরনের গয়নার দেখার সুযোগ মিলেছিল।
একই সঙ্গে ছিল জামদানি, মণিপুরির মতো দেশীয় ঐতিহ্যবাহী শাড়ির প্রতিষ্ঠান। বেশ নামকরা প্রতিষ্ঠান যেমন ছিল তেমনি ছিল নতুন ব্যবসা শুরু করা প্রতিষ্ঠানও। ক্রেতারা খুব সহজেই নিজের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়েছেন সুলভ মূল্য।মেলা উপলক্ষে ছিল অভাবনীয় ডিসকাউন্ট, উপহারসহ নানা আয়োজন। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষই লাভবান হয়েছেন।মেলা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি মেলা যদিও আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটা অংশ, তবু মেলাকেন্দ্রিক কিছু সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠান গড়ে উঠেছে৷ এগুলো আমাদের বিনোদন ধারাকে উর্বর করেছে৷
পুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মেলায় কি শুধু জিনিসপত্র কেনা-বিক্রি চলে? অবশ্যই নয়৷ বিনোদন মূলক নাচ গান ফ্যাশন শো থেকে শুরু করে হেন অনুষ্ঠান নেই, যা দেখা যায়নি সেদিনকার বাঙালীয়ানার শারদমেলায়।সবাই তো আর মেলায় কেনাকাটা করতে যায় না, কেউ কেউ আনন্দ উপভোগ করতেও সেখানে যায়৷ এমন নির্মল আনন্দের দিন বছরে একবারই তো আসে।তাই তো সেদিন মেলায় ঘোরাফেরায় সেদিন যেন কারোই কোন ক্লান্তি ছিল। চরম দুর্যোগপূর্ণ বৈরী আবহাওয়া কে উপেক্ষা করে মানুষের বাঁধ ভাংগা ঢল নেমেছিল বাঙালীয়ানার শারদ মেলায়।যেন প্রতিবার মেলায় ঘোরায় নতুন আনন্দ যোগ হয়। দল বেঁধে পরিবার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে মেলায় ঘুরে বেড়ানোর কোনো তুলনা চলে না।
আর সেই সাথে যদি তাকে চটপটি ফুচকাসহ লোভনীয় সব খাবার দাবারের আয়োজন।সন্ধ্যার পর জমজমাট চোখ ধাধাঁনো ফ্যাশন শো নাচ গান সাথে জনপ্রিয় ব্যান্ড মাটি আর এ প্রজন্মের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী বিউটি দাসের গান শোনা আর দেখার মজা বাঙালীয়ানার মেলা ছাড়া আর নিউইর্কে আর কোথাও সেভাবে দেখা মিলে না।অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা আয়োজক বাঙালীয়ানা সহ সকল পৃস্ঠপোষক আর মেলার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষকরে যাদের কথা না বলেই না তারা হলেন সবার প্রিয় রিয়েলেটোর ও সংগঠক রিনা সাহা Rina Sahaএটর্নি মইন চৌধুরী, অসীম সাহা , উৎপল চৌধুরী Utpal-Dalia Chowdhury আনাফ আলমAhnaf Alam এবং নিউইর্কের বিখ্যাত ফোটোগ্রাফার Neher Siddiqueeনেহার চৌধুরী। যাদের সবার সমিলিত প্রচেস্টায় গত বছরের মতো এবার ও আমরা সবাই মিলে শারদ মেলায় অনেক আনন্দ করে যে যার ঘরে ফিরেছি। । আমার সিনড্রেলা’স ক্লোজেট ও মেলায় ছিল একেবারেই নতুন চোখধাঁধানো কিছু আমার নিজের ডিজাইন করা সহ অন্যান্য ডিজাইনার কালেকশন নিয়ে।আবারও ভালবাসা আর শুভকামনা সারপ্রাইজ দিয়ে মেলায় ছুঁটে আসা আমার আদরের ছোটবোন ও কাছের বন্ধু আমার সিনড্রেলাস’স ক্লোজেটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মারিয়া Sharna Maria Mrittikওর বন্ধুদের সাথে আমাদের পারিবারিক বন্ধু ও বড় বোন ফিরোজা আপু Rosa Syedতার মুম্বাই থেকে আসা বন্ধু,প্রিয় রিংকিদিRinki Neogiযারা সেদিন দেব দূতের মতো আমাকে আগলে রেখেছিল সাহায্য করেছিল।
বিপুল সাড়া পেয়েছি বরাবরের মতই বাঙালীয়ানার মেলায় সেদিনও যদিও মনে আশংকা ছিল মেলা হয়ত তেমনটি জমবে না ।কারন আবহাওয়া একেবারেই অনুকূলে ছিলনা বৃস্টিরপানির জন্য আমি নিজেই প্রায় ২০ মিনিট গাড়ী থেকে নামতে পারি নাই।কিন্তু এসব কিছু উপেক্ষা করে সেদিন আমাদের বন্ধু শুভাকাংক্ষীদের উপস্হিতি আমাকে হতবাক করে দিয়েছিল। সকলের জন্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা আমার সাথে সে সকল ন্ধুদের জন্য প্রানঢালা ভালোবাসা আর শুভকামনা যারা সবসময় আমার পাশে থেকে উৎসাহ দেয় আরও ভাল কিছু উপহার দেবার জন্য অনুপ্রেরনা দেন।