খবর প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০৯ এএম
নিউইয়র্কের বাঙালী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি সেন্টারে যুক্তরাস্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ পরিবারের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ড. প্রদীপ রন্জন কর এবং সভা পরিচালনায় ছিলেন প্রকৌ: মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন প্রবীন সাংবাদিক, সম্পাদক ও কলামিস্ট সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন - সর্বজনাব ফজলুর রহমান- সম্পাদক ও সাংবাদিক, সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ- সাধারন সম্পাদক, রমেশ চন্দ নাথ- উপদেষ্টা, হাকিকুল ইসলাম খোকন - উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক, অধ্যাপক হোসনে আরা, এ্যাড. শাহ মো: বখতিয়ার আলী- আইন সম্পাদক, এম এ করিম জাহাঙ্গীর- শিক্ষা সম্পাদক, আব্দুর রহিম বাদশাহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, এম এ হাসান- বীর মুক্তিযোদ্ধা, জালাল উদ্দিন জলিল- সভাপতি, শেখ হাসিনা মন্চ, শওকত আকবর রিচি- বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিরাজুল ইসলাম সরকার- বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইসমাঈল খাঁন আনসারী- বীর মুক্তিযোদ্ধা, এ্যাড. সূব্রত সেনগুপ্ত- মূলধারার রাজনীতিক ঊমা সেন গুপ্তার সূযোগ্য সন্তান, আসাফ মাসূক- কার্য্যকরী সদস্য, রুমানা আক্তার- যুগ্ম সম্পাদক মহিলা আওয়ামী লীগ, আক্তার হোসেন- আওয়ামী লীগ নেতা, হেলাল মাহমুদ- সম্পাদক ও আহলে হাদিস নেতা, এ, কে, চৌধুরী- আওয়ামী লীগ নেতা, নূরুল বাতেন- সাবেক প্রচার সম্পাদক ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ, কোহিনূর আক্তার- সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জালাল উদ্দিন জলিল।
এরপর সকলে একে একে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে গোলাপ ফুলের স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬২, ৬৪ এর ৬ দফা, এগারো দফা শিক্ষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ই আগষ্ট, ২১শে আগস্ট, ৩রা নভেম্বরের নিস্ঠুর হত্যাকান্ড এবং স্বৈরাচার বিরোধী এবং গনতান্ত্রিক সকল আন্দোলনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মত্যাগী বীর এবং সম্ভ্রমহারা ২ লক্ষাধীক মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব শহিদুল ইসলাম- সহসভাপতি ছাত্রলীগ, জুয়েল খাঁন- ছত্রলীগ নেতা, দেলোয়ার মোল্লা- উপদেষ্টা শেখ হাসিনা মন্চ, মো: খসরুজ্জামান খসরু- উপদেষ্টা শেখ হাসিনা মন্চ, শাহ ফাতিন, শাহ মাহিন, দেওয়ান, অবিনাশ বাবু, জাকির হোসেন প্রমুখ। সভায় বক্তারা বাঙালী জাতির গৌরবোজ্জল ইতিহাস পরবর্তি প্রজন্মকে জানানোর উদ্যেশ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যলয় পর্যন্ত পাঠ্যসূচীতে বঙ্গবন্ধুর জীবনি ও এসকল দিবসকে অন্তর্ভূক্তির দাবী জানান।
বাংলাদেশ বিরোধী কোন অপশক্তি যাতে ইতিহাস বিকৃত করতে না পরে এবং যে সকল দল ঐতিহাসিক এই দিবসসমূহ পালন না করে তাদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করার জন্যে আহ্বান জানান বক্তারা। যুক্তরাস্ট্রে লিংকন সেন্টারের মত বঙ্গবন্ধু সেন্টার বানানো যায় কিনা তা ভেবে দেখার আহ্বান জানানো হয় সভায়। যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত কিছু বাঙালী বিভিন্ন সংগঠনের নামে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস পালনে সিটি হল, বরো হল, আলবেনীতে জড়ো হয় এবং বিভিন্ন ক্রেস্ট ও পদক গ্রহন করে মেয়র, গভর্ণর, বরো প্রেসিডেন্টদের নিকট থেকে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্হপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেন না।
মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান জয়বাংলা মুখে আনেন না, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। যে সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে এসেছে তা যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিব না হলে সম্ভব হতো না তা বেমালুম অস্বীকার করে। পিতৃ পরিচয়হীন কোন জাতি কোনদিন মর্যাদা পায় না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যেতে সভার প্রধান অতিথি সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ তাকে ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে একটি সন্মানিত জাতি। পবিত্র রমজানের মাসে পৃথিবীর সকল নিপিড়িত ও নির্যাতিত মানুষের জন্যে দোয়া শেষে সকলকে ইফতার পরিবেশন করা হয়। সভার শেষে বাঙালী জাতির মহানায়ক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয় সভা শেষে।