মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:২৬ এএম
ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লিবিয়ায় নিয়ে আটক রেখে অমানবিক নির্যাতন ও চাদা দাবী করায় মানবপাচার চক্রের সদস্যদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভুক্তভোগীর পরিবারের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার বেলা ১২ টার সময় জীবননগর উপজেলা শহরের রাজনগর পাড়ায় ভুক্তভোগীর বাড়িতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে লিবিয়ায় পাচার আতাউর রহমানের স্ত্রী জোসনা বেগম জানান, তার স্বামী আতাউর জীবননগর বাজারে সেলুনের ব্যবসা করতো। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকে জীবননগর বাজার পাড়ার শাহিন ও তার পিতা তাজিম হোসেন, নারায়নপুর মোড়ের আত্তাব হোসেনের ছেলে উসমান আলী এবং পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্ৰামের রহম আলীর ছেলে নোয়াব আলী পারস্পরিক যোগসাজসে আতাউর রহমানকে ভাল কাজ দেবে ৫০ হাজার টাকার বেশি বেতনের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে চলতি বছরের ১০ অক্টোবর সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে লিবিয়ায় পাচার করে। সেখানে নিয়ে পাচার চক্রের সদস্যরা তাকে কোন কাজ না দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে বন্দি করে রাখে।
এর এক পর্যায়ে স্থানীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আতাউরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে এবং ১ মাসের জেল খেটে ছাড়া পায় সে। জামিনে আতাউরকে ছাড়িয়ে নিয়ে চক্রটি আবারও আতাউরের পরিবারের কাছে আরও সাড়ে ৪ লাখ টাকা দাবী করে। ঐ টাকা দিতে দেরি হলে তাকে অমানষিক শারীরিক নির্যাতন করে। আতাউরের স্ত্রী জোসনা বেগম আরও জানান তার স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে বিমান টিকিট পাঠানো হলেও পাচার চক্র সেই টিকিট বাতিল করায়। অতঃপর কয়েকদফায় তাদেরকে লক্ষাধিক টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর পরে আরও টাকার দাবিতে আটক আতাউরকে একইভাবে নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। বারবার ঐ দালাল চক্রের কাছে ধর্না দিয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে ২৮ নভেম্বর জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবীদ হাসান বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা আতাউর রহমানকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনার কৌশল অবলম্বন করছি।