NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত তিন সংসদ নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার " ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত
Logo
logo

একটি বিয়ে এবং একটি মৃত্যু-- মিনহাজ আহমেদ


খবর   প্রকাশিত:  ১৬ জুন, ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম

একটি বিয়ে এবং একটি মৃত্যু-- মিনহাজ আহমেদ

গেলো ১ অক্টোবর আমাদের মেয়ে সারাহ্-এর বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই অনুষ্ঠান সমাপ্তির পর কন্যার বাবা হিসেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে না ফেলতেই ঘুম ভাঙলো এক মৃত্যু সংবাদে। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ঘরে ফেরার পথে নিহত হয়েছে আমার মেয়ের বন্ধু রায়ান কারসন। মাত্র ৩২ বছরের এই তরুণকে উপর্যুরপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে উন্মাদগ্রস্থ এক আততায়ী। রায়ান তখন তার ব্রুকলিনের বাড়িতে ফেরার জন্য গার্লফ্রেন্ড-এর সাথে বাসের অপেক্ষায় ছিলো। গার্লফ্রেন্ড-এর কোলে মাথা রেখেই সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।বিষয়টি আমাদের পরিবারের জন্য প্রচণ্ড পরিতাপ ও শোকের এই কারণে যে, আমার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে যাওয়ার পথেই ঘটনাটি ঘটলো।

গতকাল (২ অক্টোবর) রায়ানের বন্ধুরা ক্রাউন হাইটস্-এর হারবার্ট ভন কিং পার্ক-এ প্রজ্বলিত প্রদীপ হাতে এক শোকসভার আয়োজন করেছিল। সেখানে রায়ানের শোকগ্রস্ত বন্ধু, সহকর্মী ও সমর্থকদের কথা শুনে এবং পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি ও সংবাদ পড়ে বুঝলাম, রায়ানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমরা একজন সম্ভাবনাময় বড় মাপের সংগ্রামী রাজনীতিসচেতন স্বেচ্ছাসেবক সমাজকর্মী হারালাম।

রায়ান ছিলো একজন কবি, এডভোকেট, রাজনৈতিক সংগঠক, নীতি বিশ্লেষক, নিঃস্বার্থ ও ত্যাগী পরিবেশ আন্দোলনকর্মী। অ্যাংজাইটি নামে তার একটি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থও রয়েছে। বন্ধুদের মতে, যে কারো দুর্দিনে দুঃসময়ে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য রায়ানের দরজা সব সময় উদার উন্মুক্ত ছিলো।

বিয়ের অনুষ্ঠানে রায়ান ও তার বন্ধুরা নেচে-গেয়ে প্রচণ্ড হই-হুল্লোর করেছে। তাদের অনেকেরই বাংলাদেশি সংস্কৃতি, চালচলন, সামাজিক রীতি-নীতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিলো না। তবুও তাদের অনেকেই আমাদের মতো পোশাক পড়েছে, উপস্থিত নানান বর্ণের-চেহারার মানুষদের সাথে মন খুলে কথা বলেছে। রায়ানের শোকাভিভূত গার্লফ্রেন্ড ক্লডিয়া শোক সমাবেশে আমাকে দেখে জানালো, বিয়ের অনুষ্ঠানে আমার বলা কথাগুলো রায়ান ও তার কাছে হৃদয়স্পর্শী মনে হয়েছে। এসব ভেবে আমার মনে একটি কথাই ফিরে ফিরে আসছিল- কেনো রায়ানের মতো এমন একজন মানুষকে এভাবে এই বয়সে চলে যেতে হলো!ঘটনাটি শুধু শোকের নয়, উদ্বেগেরও কারণ। এখন অবধি কোনো আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই হন্তারক যে আরেক রায়ানকে হত্যা করার জন্য ওৎ পেতে নেই, সেটা কেউ বলতে পারবে না।

আশঙ্কাজনক এই পরিস্থিতিতে আমি সবাইকে সচেতন হয়ে চলার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের প্রতি জননিরাপত্তার বর্ধিত ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাচ্ছি।