মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
'শোকে মুহ্যমান,চেতনায় দীপ্যমান' এ প্রতিপাদ্য স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানা পুলিশের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় জীবননগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আলী আজগার টগর বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন।
১৫ আগস্ট শোকার্দ্র বাণী পাঠের দিন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী। আজ এই শোকাবহ মাসে বাঙালি জাতির অহংকার, বাংলার বীরপুরুষ, স্বাধীনতার অগ্রনায়ক শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকলের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সভাপতিত্বে এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক মো. আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভার সভাপতি পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন দেশের জন্য আত্মনিয়োগ করেছেন। সেই বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে জীবন দিতে হলো। এর চেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় আর কিছু নেই। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে রুখতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, সাংবাদিক সালাউদ্দিন কাজল প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন- জীবননগর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগের নেতা-কর্মী।