বিগত তিন বছরে চীন বৈজ্ঞানিক চেতনা এবং মনোভাব মেনে চলে পরিস্থিতির আলোকে মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সমন্বয় করে আসছে। অনেক দেশের তথ্যমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত অনেক প্রবন্ধে বলা হয়, চীনের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নীতি সঠিক, বৈজ্ঞানিক এবং কার্যকর। তাদের মতে সমন্বিত মহামারী প্রতিরোধ ব্যবস্থা চীনের অর্থনীতির স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নেবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।

ব্লুমবার্গ পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ চীনের অর্থনীতি দ্রুত এবং শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এবং চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার তখন ৪.৮ শতাংশে পৌঁছাবে।

থাইল্যান্ডের ইনফোকুয়েস্ট বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর নববর্ষের ভাষণে বলেছেন, ২০২২ সালে চীনের জিডিপি ছিল ১২০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীনের অর্থনীতির  স্থিতিস্থাপকতা, দুর্দান্ত সম্ভাবনা এবং প্রাণশক্তি রয়েছে। 

দক্ষিণ কোরিয়ার এক পত্রিকা বলেছে, নববর্ষের ছুটিতে চীনের চলচ্চিত্রের বক্স অফিস ৫৫ কোটি ইউয়ান আয় করেছে এবং দেশের ৮৫ শতাংশ সিনেমা ব্যবসা পুনরুদ্ধার হয়েছে। 

ভিয়েতনামের জিং ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয়, চীনের বিধিনিষেধ বাতিলের নোটিশ পেয়েছে ভিয়েতনাম। চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চীনা এবং বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে উৎসাহিত করেছে।

ভিয়েতনামের রেডিও দ্যা ভয়েস অব ভিয়েতনাম বলেছে, চীনের পর্যটন শিল্প আসন্ন বসন্ত উৎসবে পুনরুদ্ধার হবে এবং ফ্লাইট সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী মোকদাদ বলেছেন, চীনে প্রচলিত ভাইরাস আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ছিল এবং চীনে বিপজ্জনক কোন ভাইরাস পাওয়া যায়নি। তাই চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা উচিৎ নয়।

নাইজেরিয়ার দ্যা পাঞ্চ ও দ্যা ন্যাশন ওয়েবসাইটে বলা হয়, নাইজেরিয়ায় নতুন সনাক্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় নি এবং চীনা পর্যটকদের বিরুদ্ধে কোন নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করবে না।

সূত্র: শিশির,সিএমজি।