আন্তর্জাতিক:২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (আরসিইপি) দশটি দেশে কার্যকর হয়। পরে দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং মিয়ানমারেও তা কার্যকর হয়। এর ফলে আরসিইপি-র ১৫টি সদস্যদেশের মধ্যে ১৩টিতে এটি কার্যকর হলো। 

অধিকাংশ সদস্যদেশে চুক্তি কার্যকর হওয়ায়, এতদঞ্চলে সামগ্রিকভাবে শুল্ক হ্রাস পেয়েছে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুবিধা বেড়েছে, এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যবসার পরিবেশ ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে ও হচ্ছে। 

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুসারে, আরসিইপি কার্যকর হওয়ায়, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, এবং মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মতো আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পণ্যবাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং অন্যান্য আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে এবং চীন, জাপান ও নিউজিল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধির হারও ৭ শতাংশের উপরে ছিল। 

এদিকে বছরের প্রথম ১০ মাসে, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির হার ডবল ডিজিট অতিক্রম করেছে, যা আঞ্চলিক বাণিজ্যে, বিশেষ করে রপ্তানি বৃদ্ধিতে আরসিইপি-র ইতিবাচক প্রভাবের প্রতীক। 

এ সময় চীন, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে সাফল্য দেখিয়েছে। আরসিইপি কার্যকর হওয়ায় এতদঞ্চলে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য, ই-কমার্স এবং অন্যান্য পরিষেবা বাণিজ্যেও উন্নতি হয়েছে।সূত্র: ইয়াং ওয়েই মিং, সিএমজি।