‘চীনের ১ নম্বর প্রদর্শনী’ নামে পরিচিত ক্যান্টন ফেয়ার তার ১৩৭তম মেলাকে স্বাগত জানাচ্ছে। ১৫ এপ্রিল উদ্বোধন হওয়া ক্যান্টন মেলায় প্রায় ৩১ হাজার প্রদর্শক রয়েছেন, যার মধ্যে প্রথমবারের মতো রপ্তানিকারক প্রদর্শকের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যার ফলে ২ লাখেরও বেশি বিদেশী ক্রেতা প্রাক-নিবন্ধন করতে আকৃষ্ট হয়েছেন।
‘উন্নত উত্পাদন’, ‘গুণমানসম্পন্ন বাড়ি’ এবং ‘উন্নত জীবন’ - এই থিমগুলোকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার থেকে ৫ মে পর্যন্ত তিনটি ধাপে কুয়াংচৌতে ১৩৭তম ক্যান্টন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাতে মোট ৫৫টি প্রদর্শনী এলাকা এবং ১৭২টি পণ্য এলাকা রয়েছে। এ মেলায় প্রথমবারের একটি পরিষেবা রোবট এলাকা এবং একটি সমন্বিত গৃহ এলাকা যুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল নয়টায় মোট ৫.২ লাখ বর্গমিটারের প্রদর্শনী এলাকা নিয়ে ক্যান্টন মেলার প্রথম পর্বে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে। ফ্রেন্ডশিপ হলে অবস্থিত সার্ভিস রোবট প্রদর্শনী এলাকাটি বিশেষভাবে প্রাণবন্ত ছিল, অনেক বিদেশী ক্রেতা রোবট কুকুর, শিল্প বহির্মুখী সরঞ্জাম, স্বয়ঃক্রি ক্রুজ রোবট ইত্যাদির ছবি তোলার জন্য তাদের মোবাইল ফোন ধরে ছিলেন।
ক্যান্টন ফেয়ার দীর্ঘদিন ধরে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের ‘ব্যারোমিটার’ এবং ‘আবহাওয়া পরিবর্তনকারী’ হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত, ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২ লাখেরও বেশি বিদেশী ক্রেতা এই ক্যান্টন মেলার জন্য প্রাক-নিবন্ধন করেছেন। চায়না ফরেন ট্রেড সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর চাং সি হোং বলেন: “বিদেশী ক্রেতাদের প্রাক-নিবন্ধনের সংখ্যা, হোটেল বুকিং এবং ফ্লাইট বুকিংয়ের হারের মতো সূচকগুলো বিচার করলে, ১৩৭তম ক্যান্টন ফেয়ারে অংশগ্রহণকারী বিদেশী ক্রেতার সংখ্যা স্থিতিশীল পরিমাণ এবং উন্নতমানের প্রবণতা বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।"
সূত্র : রুবি-হাশিম-সুবর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।