এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বাস। এর অর্থনীতি বিশ্বের মোট অর্থনীতির ৬০ শতাংশেরও বেশি। এ অঞ্চল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উৎস স্থান। ২ নভেম্বর বেইজিংয়ে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায়, এ মন্তব্য করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন পিন।

তিনি বলেন, গত কয়েক দশকে এতদঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতায় ‘এশিয়া-প্যাসিফিক মিরাকল’ সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর থেকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতি স্থিতিস্থাপকতা ও প্রাণশক্তির পরিচয় দিচ্ছে এবং বাজারের চাহিদা পুনরুদ্ধার ও পর্যটন, ডিজিটাল অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় পারফরমেন্স দেখাচ্ছে। জুন মাসে আঞ্চলিক সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পূর্ণ কার্যকর হয়েছে, যা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তিকে আরও মজবুত করেছে। 

মুখপাত্র বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল হল চীন ও এতদঞ্চলের দেশগুলোর অভিন্ন আবাস। চীন এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক একীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী। তা ছাড়া, চীন অনেক এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সত্তার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার এবং আঞ্চলিক শিল্প চেইন ও সরবরাহ চেইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আঞ্চলিক, এমনকি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। 


মুখপাত্র আরও বলেন, চীন প্রকৃত বহুপাক্ষিকতা ও উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার স্বার্থে আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে কাজ করতে এবং আঞ্চলিক তথা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও টেকসই উন্নয়নের জন্য আরও শক্তিশালী চালিকাশক্তি যোগাতে ইচ্ছুক। সূত্র:লিলি-আলিম-রুবি: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।