চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চীনের করোনা ভাইরাসের উৎস অনুসন্ধান ও গবেষণাকাজ সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

দেশের রোগ প্রতিরোধ ব্যুরোর উপপ্রধান এবং চীনের রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্রের মহাপরিচালক শেন হুং পিং বলেন, ২০১৯ সালে করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হলে বিগত তিন বছরে চীন সবসময় সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের উৎস গবেষণার কাজ করেছে। যা একটি পেশাদার বিষয়। চীন সরকার ও চীনা বিজ্ঞানীরা সবসময় বিজ্ঞানসম্মত মনোভাব নিয়ে একাজ করছেন। 

চীন একটি ‘উন্মুক্ত বড় দেশ’ হিসেবে সবসময় ভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে বিজ্ঞানসম্মত মনোভাব পোষণ করে। সক্রিয়ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলকে দু’বার চীনে এসে সংশ্লিষ্ট গবেষণা করার আমন্ত্রণ জানায়। প্রথম পর্যায়ের যৌথ গবেষণায় চীন বিশেষজ্ঞ দলের কাছে সব ফাইল দিয়েছে, রোগী, নমুনা এবং পরীক্ষার ফলাফল গোপন করেনি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ সে ফলাফল নাকচ করে দেয়, যা বৈজ্ঞানিক চেতনার লঙ্ঘন। তা করোনাভাইরাসের উৎস গবেষণা নিয়ে রাজনৈতিক আচরণ। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

প্রথম পর্যায়ের যৌথ গবেষণায় অনেক অর্থ ও মানবসম্পদ বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে, চীন কখনোই করোনাভাইরাস উৎস গবেষণার কাজ বন্ধ করেনি। সংশ্লিষ্ট গবেষণার অগ্রগতি ও ফলাফল পেপার প্রকাশসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহলের সঙ্গে শেয়ার করেছে।

শেন হুং পিং বলেন, কিছু ব্যক্তি বা শক্তি, করোনাভাইরাসের বিষয়টি রাজনীতিকরণ করছে এবং চীনের মুখে কালি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে, নিশ্চয় তা ব্যর্থ হবে, চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিজ্ঞান ও ন্যায্য অবস্থানে ফিরে আসার তাগিদ দেয়।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।