ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক ইতিবাচক মন্তব্যের জবাবে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত সোমবার বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন যে, চীন এটিকে উপলব্ধি করে এবং পারস্পরিক অর্জনের অংশীদার হওয়া এবং ‘ড্রাগন ও হাতির নৃত্য’ বাস্তবায়ন করা চীন এবং ভারতের জন্য একমাত্র সঠিক পছন্দ।

মাও নিং বলেন যে গত অক্টোবরে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী কাজানে একটি সফল বৈঠক করেছিলেন, যা চীন-ভারত সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করেছিল। সম্প্রতি, উভয়পক্ষই দুই দেশের নেতাদের দ্বারা সম্পাদিত গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যকে আন্তরিকতার সাথে বাস্তবায়ন করেছে, সকল স্তরে বিনিময় এবং বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করেছে এবং একাধিক ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করেছে।

মাও নিং উল্লেখ করেছেন: “চীন ও ভারতের মধ্যে ২০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনিময়ের ইতিহাসে, বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় এবং পারস্পরিক শিক্ষাই মূলধারা, যা বিশ্ব সভ্যতা এবং মানব অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দুটি বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে, উভয়পক্ষের বর্তমান সাধারণ কাজ হল তাদের নিজ নিজ দেশের উন্নয়ন এবং পুনরুজ্জীবন অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালানো। তাদের একে অপরকে বোঝা, সমর্থন করা এবং অর্জন করা উচিত। এটি দুই দেশের ২.৮ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের মৌলিক স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, আঞ্চলিক দেশগুলোর সাধারণ প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের অসামান্য বৃদ্ধির ঐতিহাসিক প্রবণতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য সহায়ক। পারস্পরিক অর্জনের অংশীদার হওয়া এবং ‘ড্রাগন ও হাতির নৃত্য’ বাস্তবায়ন করা চীন ও ভারতের জন্য একমাত্র সঠিক পছন্দ।”

মাও নিং জোর দিয়ে বলেন যে, চীন দুই দেশের নেতাদের মধ্যে সম্পাদিত গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক, এ বছরের চীন ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীকে সকল ক্ষেত্রে এবং সকল স্তরে বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে এবং চীন-ভারত সম্পর্কের উন্নয়নকে একটি সুস্থ ও স্থিতিশীল পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। 
সূত্র : স্বর্ণা-হাশিম-তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।