বাংলাদেশে সংঘটিত একাওুরের বাঙালি জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ‘জেনোসাইড '৭১ ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র’র ৮ দফা সুপারিশ-

 

৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক জেনোসাইড স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবসের ৭ম বার্ষিকী উপলক্ষে নিউইয়র্কে ‘জেনোসাইড '৭১ ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র’র আয়োজিত সেমিনার ও আলোচনা সভায় গৃহীত নিন্মোক্ত সুপারিশসমুহ আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরন করা হলো।

 

সুপারিশসমুহ:

১) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ বেশ দীর্ঘ হতে পারে। সে কারনে জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য স্বপ্ল ও দীর্ঘ মেয়াদী একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা

) একাওুরের জেনোসাইড ভয়াবহতা নৃশংসতা সম্পর্কে দেশে বিদেশে ব্যাপক জনমত তৈরী এবং এ উদ্দ্যেশে দেশের  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকল পর্যায়ে “বাঙ্গালী জেনোসাইড স্টাডিজ” পাঠ্যক্রম কর্মসূচী  চালু করা। 

৩) একাত্তরের জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো উদ্যোগী হওয়া একান্তভাবে জরুরী। রাষ্ট্রের পক্ষে এ বিষয়ে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার উদ্দ্যেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর সহ  দেশের পথিতদশা জেনোসাইড বিশেযজ্ঞ ও প্রবাসীদের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় লোকবল ও বাজেটসহ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি শক্তিশালী জাতীয় কমিটি বা সেল গঠন করা একান্তভাবে প্রয়োজন

৪) দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন উৎস হতে একাওুরের জেনোসাইড নানাবিধ দালিলিক প্রমাণগুলো সংগ্রহের মাধ্যমে একটি ডকুমেণ্ট প্রণয়ন করা, যাতে জেনোসাইড যাবতীয় যথার্থ তথ্য-চিত্র ছাড়াও তার সঙ্গে অডিও-ভিডিও থাকবে। 

৫) হলোকস্ট ডিনাইল আইনের ন্যায় দেশে একটি আইন প্রনয়ন করা প্রয়োজন, যাতে জেনোসাইড প্রতিষ্ঠিত ফ্যাক্ট নিয়ে বিতর্ক তুলতে না পারে।

) কুটনীতিক পদক্ষেপ- প্রথমে বন্ধুপ্রতিম জেনোসাইডভূক্ত দেশসমুহের পার্লামেন্টে বাঙ্গালী জেনোসাইড এর স্বীকৃতির আদায়। এরপর অন্যান্য দেশের পার্লামেন্টে বা সরকারের স্বীকৃতি আদায়ের পর সব দেশগুলো সম্মিলিত ভাবে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে স্বীকৃতির বিষয়টি উত্থাপিত করা। এ ক্ষেএে আরমানীয়া ও রুয়াণ্ডার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে

৭) জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাওয়ার পাশাপাশি এই জেনোসাইড মূল নায়কসহ ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহন করা। 

৮) একাত্তরের জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে জেনোসাইড ইতিহাসের বিষয়ে পরিণত করা এবং যেখানে জেনোসাইড সেখানেই প্রতিরোধ এই নীতি গ্রহনের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনের সাথে একযোগে কাজ করা।